অসংখ্য নারকীয় সংহার দেখতে দেখতে
আজ তোমরা ক্লান্ত তাই না ?
কিন্তু এই বিষবৃক্ষের বীজ পুঁতেছিল কে ?
তুমি আমি আমরা সকলে ।
পতাকার আড়ালে যে রং নিয়ে খেলা করেছিলে
তখন কি ভেবেছিলে? সে রং লাল হয়ে উঠবে।
ভেবেছিলে? লাল রঙে ভাসবে
লাশ কাটা ঘরের দেওয়াল, চাতাল, চৌকাঠ ,
লুকিয়ে পোড়াতে হচ্ছে নিজের সন্তান কে
একাকী, বন্ধু আত্মীয় সুজন ছাড়াই।
কারখানার বাঁশিতে আজ আর ঘুম ভাঙে না ।
নিস্তব্ধ শশানের কালো ধোঁয়াতে দূষিত বাতাস
ভালো করে সুকে দেখ, পোড়া মাংসের গন্ধ পাবে
বিদ্বান মানুষেরা আজ বোবা বিমূঢ়।
যুক্তি নেই দিশা নেই সংজ্ঞাহীন মানুষের ভিড়ে ,
হারিয়ে যাচ্ছ দিন দিন আরো আরো গভীরে।
কু শিক্ষার আস্তরণে চাপা পড়ছ দিন দিন
থাকো আর লুকিয়ে কাঁদো ওই পতাকার আড়ালে
লাল পানিও সেবন করে ভুলে থাকো সব কিছু
সূর্য দেখার নেশা তোমাদের নেই
তাই ঘুমিয়ে আছো সুরার মুগ্ধ নেশায় নিরন্তর।
শিল্প কে তাড়িয়েছো, শিক্ষা কে ছুটি দিয়েছো ,
দরজায় রাস্তায় বসে ভিক্ষা চাইছ কর্মের ঠিকানা ।
আগামী প্রজন্ম নতুন পুস্তকের গন্ধ পাবে না ছুটির ছলে
যদিও দুখানি হাতে তুলে দিতে পারো
তাতে থাকবে কু শিক্ষার তাবোল আবোল ভাষ্য
তবে কি তার পরিণতি ? কি হবে তাদের ?
জড়িয়ে বাঁচতে হবে, এক টুকরো সাদা কাপড়।