আমার চারপাশে বাড়তে থাকে হীম শীতল রাত
সব কিছু বরফ ঠাণ্ডা ক্রমে দীর্ঘ হয় মুহূর্ত
পা হড়কে পাথরের খাঁজে আটকে থাকা নিঃসঙ্গ পর্বতারোহীর মতো
জাপটে থাকা নিঃসঙ্গতার আড়ালে আশ্রয় নেয় শতাব্দীর দীর্ঘতম রাত
দু'চোখে ঘুম আসে না, পাশ ঘেষে উড়ে যায় নিশাচর পাখি
দূর নগর থেকে ভেসে আসে টুং টাং শব্দ
চাঁদ আলো ঠিকরাচ্ছে সমুদ্রের জলে
অথৈ জলে নোঙ্গর করা যুদ্ধজাহাজের হেডলাইটের আলোয় ঝলসে যাচ্ছে চোখ
এই আকাশ বিষণ্নতায় ভরা, জগৎসংসার সুনসান নির্জন
একাকিত্বের চোরাগোপ্তা হামলায় ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়
অথচ আমি সেই জন, যেকিনা আলিঙ্গন করেছে তোমাকে
তোমার ঘন কেশারণ্যে তন্দ্রাচ্ছন্ন কেটেছে আমার বেহেস্তী সময়
সন্তর্পনে বাড়িয়ে দেয়া হাতে দিয়েছো সুঢৌল হস্তের ছোঁয়া
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে চুম্বনে চুম্বনে মাখিয়ে দিয়েছো দ্রাক্ষাসুধা
তোমার বুকের উত্তাপে জড়িয়ে নিতাম শীতল দেহ
অথচ আজ এই শতাব্দীর দীর্ঘতম রাতে
তীব্র উত্তাপে আমার বুক বিরান মরুভূমি . . .
কোথায় তোমার শৃঙ্খলিত কৃষ্ণকেশ ?
কোথায় তোমার ঠোঁটের সুমিষ্ট কোয়াগুলো ?
কোথায় বুকের গভীর জমা রাখা ওম ?
তোমার নিঃসঙ্গতায় মেজাজ এতোটাই বিগড়াবে ভাবতেই পারিনি !

রাত গভীর হয়, কবরস্তম্ভের মতো নিঃস্ব-নিঃশব্দ দাঁড়িয়ে থাকি
বিষ্ফারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে প্রতিচ্ছায়া
এখন আনন্দ মন্থনে পান করি বিষণ্নতা
নিঃসঙ্গতার সমুদ্রে বাজাই করুন ভায়োলিন
দৃষ্টি সীমানা ঝাপসা, দগ্ধ দেহের ভূমি চৈত্রের খা খা
বেদনার্ত আত্মার পরম আপন তুমি, চিরন্তন আকাঙ্খা