চেতনার মাঠ জুড়ে পড়ে অাছে শূন্য ক্যানভাস
পাখির পালক থেকে রঙ নিয়ে ক্যানভাস রাঙিয়ে তুলি
গ্রীকদেবী বা রেঁনেসার শিল্পীদের থেকেও
বহুগুণে ফুটিয়ে তুলি তোমার প্রতিমা
তবুও সম্পূর্ন তোমাকে অাঁকতে পারি না মেঘবতী !
'মাটির পৃথিবী ছেড়ে সাত তবক অাসমান ছুঁয়েছে
তোমার কুরশি'
লক্ষাধিক গ্রহের গোলার্ধ ছেড়ে তোমার বাস—
ঈশ্বরের স্বর্গপুরীতেও
সত্তর কাপড়ের ভাঁজে তুমি দিপ্যমান ,সে রূপ সলকে ওঠে সাত অাসমান দূরে
তাই তোমার অাসমানে পৌঁছাতে পারি না মেঘবতী !
মরুময় রাতে শুয়ে থাকি গন্তব্যহীন ক্লান্ত যাযাবর এক
মরু বাতাসে ভেসে অাসে তোমার চেনা ঘ্রাণ
অাঙ্গুলের ডগায় জেগে থাকে তোমার চিবুকের রূপলী ঘাম কুচি
অন্ধকার রাত্রির অবগুণ্ঠনে প্রলোভন দেখায় তোমার খোলশ পরা প্রেম
এ দেহ শিউরে ওঠে ক্রমশ জেগে ওঠে প্রবল ঈশ্বর
অামার বোধনে এত রঙ মেখে ক্রমশ অন্তর্বাসিনী
প্রভাতগুলো অন্ধকারে ঘন করে তোলো ,দূরে সরে যাও
অামি ধ্যানস্থ্য ঋষির মতো যন্ত্রার মন্ত্র করি পাঠ
যন্ত্রনার মাঠ পেরিয়ে এবার তোমার বিক্ষুব্ধ সমুদ্র সম্মুখে দাঁড়িয়েছি
তোমার অতলে অামায় গ্রহণ করো
অথবা অামার লবনাক্ত চোখের কোটরে গেঁথে দাও তোমার সমুদ্র —