হে অামার অাবহমান দেশ
তুমি ঘোর অমানিশার কণ্টকময় বিনিদ্র রাত পেড়িয়ে
কত দিন মাস বছর ...কত হাজার শতাব্দী
তপস্যায় পার করে জন্ম দিয়েছিলে তোমার শ্রেষ্ঠতম সন্তান
যাঁর দু'হাতে শান্তির শ্বেত কপোত পত পত করে উড়তো
যাঁর বক্ষে শীতল বটবৃক্ষের মতো সহস্র উদ্যান ছিলো
যাঁর শুচিময় দৃষ্টিতে প্রস্ফুটিত হতো রাশি রাশি শাপলার মুখ ৷৷
যিনি শক্ত দু'হাতে লালন করলেন নবজাতক ইতিহাস
ইতিহাসের শরীর বর্মে ঢেকে দিলেন
অভূক্ত ইতিহাসের মুখে তুলে দিলেন দ্রোহের অাগুন
ইতিহাসকে দিলেন শৌর্য-বিত্ত বৈভব,গৌরব উজ্জ্বল অাঙিনা ,নিজস্ব চন্দ্র-সূর্য
হাজার বছর বার্ধক্যহীন বেঁচে থাকার অঙ্গিকার
ইতিহাসকে দিলেন বাঁচার মতো ইতিহাস ৷
অতঃপর অাপনি বড় দুঃসময়ে চলে গেলেন
কাল বেলার ক্রর অভিশাপ পায়ে দলে
অাপনি চলে গেলেন বহু দূরে
এখন কেমন হবে পৃথিবী বুক অার প্রকৃতির মুখ
কেমন হবে মৌসুমি বায়ু জল পলি অার ফসলের ঘ্রাণ
কেমন হবে তরতরে নদীটির গভীর হৃদয়
কেমন হবে কাক চিল শকুন
শিয়াল নেকরে অার হায়নার অলুক্ষনে বিষাক্ত নিঃশ্বাস ?
কেমন হবে সমর্পিত চেতনার ব্যথিত চেহারা
কেমন হবে উচ্চকিত জীবনের করুন বিকাশ ?
কে দেবে তার জবাব . . . ?
অাপনি সহস্র প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলে গেলেন
অমনি বিশ্বাস ঘাতকতার একটি পতাকা উড্ডীন হলো বাংলার বুকে
তার নিচে জরো হলো এক ঝাক শিয়াল শকুন নেকড়ে ও গুহাবাসি পিশাচের দল
ওরা জানে না বিপ্লবী মরে না - সে দীপ্ত অগ্নির মতো একটি প্রজ্জ্বলিত সূর্য
শান্তির শ্বেত কপোত -সে তো মৃত্যুঞ্জয়
গায় চিরায়ত অবিনাশী গান
অাকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় বারংবার ৷
এসো অামরা প্রত্যেক দিন পালক করি তাঁর জন্ম দিবস
এসো অামরা প্রত্যেক দিন পালন করি তাঁর মৃত্যু দিবস