আমি তো তোমাকে ছুঁতে চাই নি।
কিন্তু তোমার সামনে দাড়াতেই আমার নিউরনগুলোও
আমার সাথে প্রতারণা করা শুরু করলো।
সিনাপসগুলো নতুন উদ্যমে বহন করে চলছে অদৃশ্য কারো বার্তা।
সত্যি আমি তোমাকে ছুঁতে চাই নি।
আমার হরমোনগুলো বড্ড বাড় বেড়েছে। গ্রন্থিগুলো যেন আলাদা স্বাধীনতা পেয়ে বসেছে। ব্রেইনের কোন নির্দেশনারই তোয়াক্কা করে নি।
তোমাকে ছোঁয়ার কোন ইচ্ছেই ছিলো না আমার।
তোমার সামনে দাড়াতেই নিজেকে মনে হলো ইলেকট্রন বিন্যাসের শেষ কক্ষপথের একটি ইলেক্ট্রন। আর তোমারও অসম্পূর্ণ ইলেক্ট্রন বিন্যাস দেখে রাসায়নিক নিয়মে অষ্টক পূর্ণ হলো। এতে আমার কিইবা করার আছে বলো।
আমি ভুলেও ভাবি না তোমাকে ছুঁয়ে দেবো।
তবে সামনে দাড়াতেই তুমি কেন মেগনেট হয়ে গেলা। জানোইতো আমার রক্তে আয়রনের পরিমাণ ভয়ংকর রকমের বেশী। চুম্বক যদি কাছে টানে লোহার কি সাধ্য সেটা নাহি মানে।
23.09.2015