কে বুঝেছিলো যে অনামিকা ধরিয়াছে আমার কনিষ্ঠ
নীরব ঘাতক হইয়া সেই করিবে একদিন আমার অনিষ্ট।
কথা ছিলো আমার বৃদ্ধা তর্জনী ধরিয়া তোমার অনামিকা,
আংটি পড়াইবে অতি যতনে টের পাইবে না রক্ত কণিকা।
যেদিন তোমার হাতখানা ছিলো নির্ভেজাল ফাঁকা
বলেছিলাম এই হাতেই পড়াইয়া দিবো আমি প্রথম শাখা।
তুমি সেকি লজ্জায় বেগুনী হইয়া বলিতে যাও দুষ্টু বাদর
সেদিন থেকেই ভাবিয়া লইতাম এতো দুষ্টুমি নয় আহা কি আদর।
বলিয়াছিলাম এই সেই সিঁথিতে লাগাইবো রাঙা সিঁদুর
তারপর কপালে কপাল ঠেকাইয়া মাখিয়া লইবো ভাবনা ছিলো মধুর।
আজও তোমার রাঙা কপাল, রাঙা তোমার গাল
তোমার সৌন্দর্য আজও কমেনি সাক্ষী নয়ন খাল।
ডুবিয়া ছিলাম মিছে আশায় মিছে প্রেমের মায়ায়
দেখিতে পাই নাই ভবিষ্যৎ আমার লুকাইয়া ছিলো ছায়ায়।
তোমার হাতের শাখার ধ্বনি থামাইয়া দেয় হৃদস্পন্দন
অনামিকায় বসা ধাতু খানা ছিড়িয়া দিয়াছে মিছে বন্দন
আমি পরাজিত তাতে কি তুমি থেকো জিতায়
আগুন ছাড়াই জ্বলিয়া মরি আজো আমি চিতায়।
আফসোস করবো না আর শুধু এই মিছে মায়ায়,
সুযোগ পেলে এসো একবার আমার
শেষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়।
16 জুলাই 2015