যেবার প্রথম তোমায় দেখেছিলাম শরৎ সন্ধ্যায়
যেবার হৃদয় ভাসিয়া গিয়াছিলো রক্তগঙ্গায়
সেবার তোমায় দেখিয়াছি চুপে চুপে
একই স্নিগ্ধ মানবী তুমি তবে কেন বহুরুপে।
তুমি হাসিয়া কুটি কুটি জাগিয়ে নিদারুন ভ্রুকুটি
আমি ক্রমশ নেশা থেকে নেশাতুর ভুলিয়া সকল ত্রুটি
কি বনলতা কি মনরো সকলি মিছে তবে ছাই
খোদার কসম লাগিলে জখম তবে তোমাকেই চাই।
ক্রমে ক্রমে সাহস সঞ্চারি তোমার ছায়ার সমান্তরালে
তুমি হাটো সদর রাস্তায় তো আমি অন্তরালে
কতো ভাবিয়া আবার ভাবিয়া স্থির করিলাম মন
আজি সন্ধ্যে গোলাপ গন্ধে তোমা দেব দরশন।
কাঁপিয়া কাঁপিয়া মাপিয়া চরন হাটিয়া দাড়াইলাম দুরত্বে
ভাবিলাম এবার দেখাইবো কতোখানি আমি বীরত্বে
মানবীর চাহনিতে আমায় ঘর্মগ্রন্থি হইলো কাঁদিয়া সারা
কি জানি এই বুঝি গো করিবে আমায় তাড়া।
কি মানবী তুমি মনের ঘরে মারিয়া রাখিয়াছো তালা
মনের কথা শুনিবে কেমনে তবে ঐ রোবটী মনকালা,
কি যে বলি কি যে করি ভাবিয়া হইলাম তন্ন
আমি তোমাকে দেখিতে চাইনা আমাতে বিচ্ছিন্ন।
গোলাপ লুকাইয়া মিনমিন করিয়া বলিতেছি
মানবী আমি তোমার প্রেম স্রোতে ভাসিতেছি
কোথায় ইহার গন্তব্য হবে তুমি কি বলিতে পারো?
আমি নাবালক নই বহু আগে চুকাইয়াছি আঠারো।
বালিকা রািগয়া কহিলো তবে এখনো করো বহু ভুল
লুকাইয়া রাখিয়াছো কেন ঐ পছন্দের গোলাপ ফুল
শুনো ভীরু আমারও মন আছে জানো কি আমি চাই
তবে তোমার প্রেম উপেক্ষা করিবার শক্তি আমার নাই।
শুনো আমি রোবটিক নই নই কোন মনকালা
পারো কি ভীরু আবেগে গাঁথিতে ভালোবাসার মালা
এবার কি তবে আনন্দে আকাশে ভাসিয়া নাচিবে?
আর শুনো আমি না চাহিলেও বেহায়ার মতো শুধু আমাকেই ভালোবাসিবে।
29/3/2016