শান্তির বারতা দাও হে প্রভু, মম চিত্ত বুলায়ে
আছো তুমি চিন্ময় বেশে-অনড় হয়ে
আমি দেখিতে চাই-পাহিতে চাই
পাই না, অন্তরের চক্ষু খুলিয়া
আমি দেখিতে পারি না, বুঝিতে পারি না
তুমি কি আছো শুধু বসিয়া
শাণিত প্রস্তর হয়ে।।

আছো তুমি আকাশে বাতাসে সূর্য কিরণে-
সকল প্রাণের দুয়ারে।
জাগাও সকল প্রাণ সজীব মর্ম বিলায়ে
প্রভু, আমি দেখিতে পাই না- শুনিতে পাই না
বুঝিতে পারি না তোমার মহিমা-
দাও হে আমায় তোমার মহিমা বুঝায়ে।।

মিছে আশা লহে বহে চলেছি গহীন আঁধারে
কবে জানি হবো লীন-নীল অম্বরে
সংসারের অনল-গরল-অকূল পাথারে
আমি পাহি না পথের দিশা
নিয়ে এসো তব চরণ তলে ফিরায়ে
দাও হে প্রভু পথের দিশা দেখায়ে।।

সসীমেরে ভাবিয়া অসীম চলেছি অখিলে,
নগ্ন বাসনা লয়ে
ডুবিয়া-মরিয়া-ভাসিয়া-উঠিয়া চলেছি,
নভো নীল আলয়ে
নয়নের আলো মিশেছে দিগন্তে
ঘিরিয়া রাখিয়াছে মহাকালে
আমার এ আলো দাও হে প্রভু ফিরায়ে
আমায় এ যাত্রা রুধিয়া নিয়ে এসো তব চরণ তলে
আলেয়ার মোহমায়া ঘুছায়ে
দাও হে প্রভু আমার কালিমা মুছায়ে।

আমি নীরব নরকে বসিয়া আছি ডুবিয়া
চারদিকের মোহ-কালিমা রাখিছে ডাকিয়া
আমি দেখিতে চাই, জানিতে চাই তোমার মহিমা
দেখিতে পারি না-জানিতে পরি না, মানব চক্ষু মেলিয়া
জীবনের মর্মর আকাংখা ভুলায়ে
দাও হে প্রভু আমার অন্তর চক্ষু খুলিয়া ।।

রবি-শশি, আলোক রশ্মি বৃক্ষ ছায়া
দিয়েছো তুমি নদী-নালা, সাগর-মহাসাগর
পাতাল-ভূমি-অন্তরীক্ষ ভরিয়া রাখিয়াছো
অমূল্য রতনে, রতন খুঁজিয়া ডুবিয়া মরিতেছি
সুখের সন্ধানে, আমায় আনো ফিরায়ে
মিছে রতনের ভাণ্ডার ভুলায়ে
দাও হে প্রভু তোমার চরণ তলে মিলায়ে।