চলিছে বধূ চঞ্চল পায়
আপন ভুবনে হেলিয়া দুলিয়া ধায়
পায়ে পায়ে সমীরণে,
নূপুর মৃদঙ্গ ভেসে বেড়ায়।
ছল ছল আঁখি তার ঝরণা ধারা
ছুটেছে দিগন্ত পানে
খুঁজেছে পুঞ্জের তারা।
হাটিয়া হাঁসিয়া বেড়ায়
চঞ্চল নয়নে দখিনা হাওয়ায়,
বধূ পূর্ণিমা রাতে খোলা মাঠে
জোনাকীর সাথে নেচে নেচে গায়।
গুঞ্জরিয়া গাহে পাখি শাখে শাখে
গোধুলী লগ্নে ফিরে পাখি বধূর সনে
বধূ বুঝি এলো ফিরে কুঞ্জবনে।
সন্ধ্যার সমীরণে শিউলির সুবাসে
ভাসিছে বধূ শীতল হাওয়ায়।
আপন মনে গাহিছে জীবন সঙ্গীত
সৃষ্টির রসে দুলিছে সে প্রিয়ার সনে
রসের রাশি রচিবে রচনা যামিনী যাপনে
প্রকাশ্যে আনিবে প্রভু, প্রজন্মের স্মরণে,
নহে লাজ, লহে সাজ ভাসিছে বধূ জোয়ারে
মাতৃত্বের জন্যে।