এই!
তুমি কি চিনতে পারছো আমায়?
আমি এক নীলাম্বর, বর্ষা-বাদলের প্রথম আস্তানায়!
অনেকদিন গোপন ছিলাম, তারপর-
পূর্ণিমাতে আসিলাম ফিরে, নিস্তব্ধ কলেবর।
আদিগন্ত অভিমানী,
আমার এ প্রত্যাবর্তনে খুশী হওনি জানি;
তবু আসিলাম হাহাকারে,
নতুন করিয়া চিনাবো, আবারো আমারে।
করিব শূণ্য থেকে শুরু সঞ্চারিত বুকের ভাষায়
আশায়-নিরাশায়,
করিব আত্মসমর্পণ দূর্নিবার আকর্ষণে
শব্দহীন সম্মোহনে,
করিব বিরান বুকের জমিন পুনরায় চাষ
গড়ে তুলব মেঘালয়ে বিস্তীর্ণ আকাশ।
তারপর পুনরায়-
চাহনি ফেলবে বুকে অভিমানের অন্তরায়,
হে প্রেয়সী মম!
ঘৃণায় আঁচড়াবে পাঁজর ঘূর্ণিপাক সম,
ফেরাবে বারবার হতভাগ্যের মতো
খনন করবে তীক্ষ্ণতায় অভিযোগ যতো,
কান্নার আবহে-
ভাসিয়ে দেবে ভালোবাসা অসীমের প্রবাহে।
অত:পর আমি-
অপেক্ষায়-অপেক্ষায় কাটাবো দিবসযামী,
ভুলগুলো সংশোধনের খুঁজবো নিত্য-নতুন উপায়
দু’হাতে-দু;পায়,
হানবো আঘাত যদি করো ক্ষমা
কবি আমি, নিরুপমা!
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে
তোমার দুয়ারে,
হোক ভুল, তবু ভালোবাসি, তাইতো এ আনাগোনা
হয় করো ক্ষমা, নতুবা ঘৃণা।।