এই দুখের পারাবারে, তুমি অন্ধ কোন রাত
এই সুখের পারাবারে, তুমি স্বর্গের কচি হাত,
সেই স্বপ্ন নিয়ে আজও, চলি স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে
তুমি বোঝনা আমায় তবু, হে অপরিসুদ্ধ মেয়ে!
আজো ছন্নছাড়া চোখে, দূরদর্শীনিদের ডাক
তবু মিলন হবে বলেই, স্বত:স্ফুর্ত ঘূর্ণিপাক,
তাই ক্ষান্ত হয়না মন, সেই মনের দিকে চেয়ে
তুমি কিছুই বোঝনা ছাই, হে সব্যসাচী মেয়ে!
এখন দৃষ্টি ফেরাও জলে, জল না জলের অণূরণন
যখন আসছে তোমার পানে, তখন করছো নিজেই লেহন,
তখন শব্দ হয়না ঘুমে, শুধু স্বপ্ন আসে ধেয়ে
তুমি বোঝনা তাদের ধারা, হে স্বপ্নহারা মেয়ে!
যারা নিজের কাছেই দোষী, তাদের ভুল ছিল না যতো
তুমি তাদের ভুলের ভোলা, তুমি ঠিক তাদেরই মতো,
তাই শরীরটাকে ফেরাও, নয়তো পাপেরা শরীরে যেয়ে
গ্রাস করছে নৈতিকতা, তুমি বুঝতে পারো না মেয়ে!
দেহে সাধন করছ সময়, সময় ডুবছে বর্তমানে
যেভাবে বুনছ মাটিতে ফসল, সেভাবে ভাসাও আত্মদানে,
আজ শিখছ অশ্লীলতা, শরীর আধুনিকতাকে ছেয়ে
হচ্ছে কৃষ্টি স্বর্বস্বান্ত, বোঝ না নি:স্ব-রিক্ত মেয়ে!
নেই বলে দাও প্রেম, ওরা করছে আর্তনাদ
যাদের সম্মুখেতে সুখ, তারা নিজের থেকেই বাদ,
তাদের করছ আলিঙ্গন, তুমি তাদের কাছে পেয়ে
ভাবছ বুঝে গেছি সবই, তুমি কিছুই বোঝ না মেয়ে!