ভাস্কর দা সেদিন বলছিল—
রজনীর সাথে অন্ধকারের রাধাকৃষ্ণ মিল
বিষ্ণুপ্রিয়াকে চৈতন্যে নয়, পাই রজনীতে
রাধিকাকে শ্রীকৃষ্ণে নয়, বিলীন করি রজনীতে
রাহুল-জননীকেও দেখি রজনী-বৃত্তে ঘেরা,
বিবি খাদিজা, সেঁও রজনী-রসে সিক্ত
সীতা,হেলেন,দ্রৌপদী,গীতা,নিবেদিতা,
বেদী,কোরয়ানী,ত্রিপিটকিনী,বাইবেলীও রাজ-রজনীময়।

অসীম-সসীম,আকাশ-বায়ূ, শূন্য-পূর্ণ, খন্ড আর ব্রহ্মাণ্ড রজনীতে সব অখণ্ড— অখণ্ড— অখণ্ড,

পাপিনী, পূন্যী, শিখণ্ডী, শপথিনী
পঞ্চশরী,প্রজাপতিনী, মদনী
দেবী,দেবিনী,অপ্সরা, হুরী, আফ্রোদিতি,ইরোটা
                        সবই  রজনীর পরিচিতি।

রজনীতে আসক্ত সব তীর্থ, স্বার্থ, অর্থ, অনর্থ—
            মুক্তি পায়নি কুরুক্ষেত্রে পার্থ  
তবে কি এগুলো ব্যর্থ ব্যবস্থাপনা  !  

না,না,না, এতো রজনীরূপে বিশ্ব-রচনা।

এবার, রজনীর  যিনি রাজা
তিনি আমাদের শ্যামরায়,
       রজনীর আশ্রয় মোহাম্মদে,
রজনীর চেতন অহিংসায়,
রজনীর আস্থা যীশুর দরবারে!

এভাবে  সে হাওয়াই পূর্ণপাত্রে ঢেলেছে জীবনসুধারস।
আর আমি ভাস্কর—
           জ্বলছি  তার প্রেমপ্রসূত পারমাণবিকে।

আসলে কি জান—
           ঈশ্বরসহ সব আদর্শ প্রেমে ভাগ বসায়,
      নইলে আলো দিতাম  আরো বেশি।
               রজনী আমার  প্রিয় প্রিয়তমা!!