হাজার বছর ধরে আছে
আমার ভিটেমাটি
লাঠি দিয়ে লুটে নেবে
সন্ত্রাসীদের পাটি
দখলবাজ শাজাহান আর
আজিম আলম কাজী
হাজী হারামজাদা ওরা
পাকিস্তানি পাঁজি
নব্য রাজাকার ওরা
অসভ্য এক জাত
ভাত-মারা ঐ হত্যাকারী
করতেছে উৎপাত
জুঙলি জানোয়ার কোথাকার
জোর জুলুমের ভীড়ে
জাহান্নামের জন্তু হয়ে
খাচ্ছে মানুষ ছিড়ে
চিরে চিরে বুক আর পিঠ
খুবলে খাচ্ছে মাংস
ধ্বংস করছে তাজা প্রাণ
ইয়াহিয়ার বংশ
দশ দোজখের দালাল হয়ে
খাচ্ছে খোজা হালাল
চোয়াল ভাঙা চোরের বাচ্চা
লুটছে গরু গোয়াল
হিন্দু বাড়ি হিন্দু নারী
ভোগদখলে মজা
রোজা রেখে শাজাহান গং
খাচ্ছে এসব গাঁজা
হাঙ্গাবাজী দাঙ্গাবাজী
ধান্ধাবাজী করে
ঘরে ঘরে আগুন দিচ্ছে
খাটরা গেরাম ভরে
একাত্তরের হায়না এরা
জালিম নরপশু
জ্যান্ত ধরে কামড়াচ্ছে
বৃদ্ধ -যুবা-শিশু
দৈত্য দানব ভূমিদস্যু
ভাঙছে লোকের কপাল
মন্দির হতে লুটে নিচ্চে
সোনা দানা গোপাল
সংখ্যালঘুর রক্ত খাচ্ছে
শক্ত চক্র আজি
বাজী ধরে নৌকা ডোবায়
লেবাস পরা মাঝি
লোভী লম্পট মিথ্যেবাদী
ওরা শিয়াল শকুন
কাকে বলবো আসুন আসুন
এসব কান্ড দেখুন
সত্য, বিনয়,সুব্রত আর
সুশীল অনেক মুখ
হাসপাতালে মৃত্যুপথে
সইছে করুন দুখ
তাইতো বলি জেগে ওঠো
আপন তেজে জ্বলো
ভোলো তোমার ঠান্ডা মেজাজ
গরম অস্ত্র তোলো
ডান্ডা মারো ভন্ড যত
আছে রে ওৎ পেতে
মুন্ডু ওদের পুতে ফেলো
বাপ দাদার ঐ ক্ষেতে
সত্য দাদা উঠছে ক্ষেপে
সত্য দন্ড নিয়ে
মায়ে ঝিয়ে চাচ্ছে বিচার
প্রেসক্লাবে গিয়ে
অসাধু ঐ চক্র এবার
করো টুকরো টুকরো
ভয়ে যেন কেঁপে ওঠে
দৈত্যগুরু শুক্র
অপবিত্র দুর্বৃত্তদের
করো লণ্ড-ভণ্ড
কালো হাত কেটে করো
হাজার খন্ড খন্ড
কোথায় আছেন চলে আসেন
সাংসদ শেখ সেলিম
জব্দ করেন বিনাশ করেন
জাল-জালিয়াত-জালিম
আরো আসেন শেখের বেটি
গোপালগঞ্জের মাঠে
বিভৎস এই পাক-আগাছা
মারেন খুঁটে খুঁটে
কোনাকোনি বলে দেবেন—
" আর যেন না শুনি
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাঙলায়
হচ্ছে খুনোখুনি
সংখ্যালঘু সংখ্যাগুরু
এসব শব্দ বাদ
সবাই আমরা এক বাঙালি
ছড়াও এ সংবাদ
জাত বেজাতের মাতাল হাওয়া
আসলে সব ফানুস
কবরে দাও হিন্দু মুসলিম
আমরা শুধু মানুষ
এই মানুষের মানবতায়
যে–ই করুক আঘাত
হাত পা বেঁধে তার গালে
চড়াও চপাৎ চপাৎ
শুদ্ধ জীবন শুদ্ধ যাত্রায়
যে ঘটাবে শ্রাদ্ধ
ক্ষুদ্ধ আমি তার বিরুদ্ধে
করে যাচ্ছি যুদ্ধ। "