সেদিন অনেকদিন বাদে-
তোমার মধু মুখটা বারংবার মনে পড়ছিল
আমার জ্ঞান চক্ষু দিয়ে দেখছিলাম তোমাকে,
কত সুন্দর তুমি!
দেখছিলাম তোমার জোড় ভ্রু, আনত নয়ন-
অবিরাম হাসতে থাকা মিষ্টি মুখখানি।
আর তোমার কথাবলা,চলার ছন্দ
মিষ্টি দুষ্টামী-
আমাকে এখনো ভাবায়-
সব মিলিয়ে কি অপূর্ব তুমি!
মনে পড়ে-
বর্ষা, শরৎ ,বসন্ত বরণে
লাল, নীল, কালো টিপ পরে সাজতে??
আর আমি অবাক হয়ে শুধু তোমাকেই দেখতাম
এ কি তুমি!!
আমাকে হয়তো মনে নেই তোমার-
জীবনের অনেক স্মৃতির ভীড়ে,
চাপা পড়েছে সেই মধুর সময়,
বাস্তবতায় কিংবা স্বার্থপরতায়।
প্রতিটি মানুষের জীবনে
ভাললাগার, ভালবাসার,অনুভবের মানুষ থাকে-
যা-কে মনে পড়তেই শরীরের প্রতিটি অঙ্গই রোমঞ্চিত হয়ে ওঠে,
প্রানের স্পন্দন জাগে মনের গহীনে।
কত সুন্দর তুমি
কত আপন ছিলে তুমি
এখন বুঝি, তখন বুঝিনি ।
কারনে অকারনে দীঘির পাড়ে, বকুলতলায়-
ফুলকুড়ানী হয়ে আসতে
সময় নেই , অসময় নেই
পায়ে লাল আলতা, চুলে বেড়ী,
নাকে নাক ফুল, কানে দুল পরে -
কি দুরুন করে হাসতে,
আর অপলক দৃষ্টিতে
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে।