দু’হাত ছাড়া জন্মেছিল ছেলেটা।
অনেক ভেবে দাদু ওর নাম রেখেছিল সব্যসাচী।
ফুটবল খেলায় কেউ ছিলনা তার সমকক্ষ
স্কুলে কিংবা ক্লাবে ।
পা দিয়ে ছবি আঁকত, খাবার খেত, ঠাকুরের পায়ে ফুল দিত।
ব্যাঙ্গ ক’রে পাড়ার ছেলেরা বলত,
জগন্নাথ !
কয়েক ধাপ এগিয়ে কেউবা মজা করত
“হাত কাটা জগা” বলে।
সব্যসাচীর কোনো দুঃখ ছিলনা,
অভিমান ভুলে সবসময় হাসতো ।
দুই হাতের গর্বে বন্ধুদের বুক ফুলে উঠত,
যখন যা খুশি করত।
হাত না থাকার অভিনয় ক’রে
সব্যসাচীর শরীরের ভাষা নকলে
পারদর্শী ছিল ওরা।
কখনোবা হেসে উঠত
হো …. হো ….. ক’রে।
দূরদর্শনের পর্দায় যখন সব্যসাচীর গলায় মালা ঝুলছিল
নাচের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে,
বন্ধুদের গর্বিত হাতে তখন হাতকড়া
গনধর্ষণের অভিযোগে।
গভীর রাতে
প্রাত্যহিক কৌশলে মায়ের ছবিতে মালা দিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে “জগন্নাথ”।
-- দুই হাত ছাড়া আমাকে জন্ম দিয়ে ভালো করেছিলে মা।
হাত থাকলে হয়তো আমি সব্যসাচী হতে পারতামনা
পারতামনা মানুষ হতে,
ঠিক যেমনটি তুমি চেয়েছিলে।