আজকাল লিখতে বসলেই এক শূন্যতা
এক আস্থাহীনতা এসে আমায় গ্রাস করে,
কি লিখবো, কোনো লিখবো?
কিইবা বাকী আছে যা নতুন রূপে
আমাকে দিয়ে আবির্ভূত হবে?
সমস্ত অস্থিমজ্জাতে যে ঘুন ধরেছে
প্রতিটি শিরায় শিরায় রক্ত কণিকায়;
হিমোগ্লোবিনের দ্রুত সঞ্চালন
কেবলই পাপের ছড়াছড়ি।
আমায় দিয়ে আর কিইবা লিখা হবে?
নিজের মনের গহীনে যে
অসুখ প্রতিনিয়ত নিজেকে ক্ষয় করে দিচ্ছে
বিতাড়িত করতে তাকে আজ আমি অক্ষম
আমায় দিয়ে কী আর কোন সৃষ্টি সম্ভব?
একটা সময় ছিলো রঙ্গিন প্রজাপিত
আকাশের গায়ে রংধনুর খেলা দেখে
হৃদয় শিহরিত হতো
গাছের ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি শুনে
মনে হতো প্রকৃতির পালাবদল
এই যে নিষ্ঠুরতা কেনো এতো সুন্দর
কেনো ঐ ঝরা পাতার মাঝে নতুন জীবনের
নতুন প্রানের আগাম ধ্বনি বাজে।
সেই অনুভূতি গুলোও আজ নিথর
আমায় দিয়ে আর কোন
আনন্দের লহরী তোলা কি সম্ভব?
আর কোন নতুন কবিতা কিংবা
কোনা লিখার চেষ্টা তাই নিরর্থক।