তুমি যে দেশে থাকো
সেখানে স্বচ্ছ নদীতীর
মেঘ নীলিমায় জ্যোৎস্না রং
অদূরে ঝুলন্ত এক সাঁকো..
আবার কখনো তোমারই পাশে
গভীর অমানিশায় স্বপ্ন নরম হয়ে আসে।
অতন্দ্রিলা তবু ছোঁয় তার নরম চিবুক,
সারা শরীর জুড়ে তার ফাল্গুনের গন্ধ, কিংশুক,
সুখ পাখির ঠোঁটের মতো লাল...
সেখানে বৃষ্টি থামার শেষে
অদূরে দাঁড়ায় রংধনু রথ।
নীচে অরণ্যে জমে চুপকথারা
ত্রসরেণু জমে বৈকালিক ঘাসে..
জানি এ ভ্রম, আমারই তৈরি করা।
হয়তো বা বাসন্তী বাতাস
মনের দরজায় দিয়েছিল নাড়া।
তোমাকে সাজিয়েছি আমি
আমারই মনের মতো,
সাথে বৃষ্টিও ছিল সম্মত।
ভিজে গেছে হৃদয়ের ঘরবাড়ি,
একক কদম গাছ, বকুল সারি।
এ কি পুরোনো আবেগ?
অথবা পুরোটাই মনের ভুল
ভরা নদী যেমন ভাঙে তার কুল।
নদীর কিনারে বসে
বিকেল ফুরিয়ে আসে
অপার্থিব মনের হয়
অবিরাম জলের ধরা, শব্দময়..
বসে থাকি ঘাসে
বুক খোলা শার্ট ওড়ে
দমকা বাতাসে।
দূরে কোথাও দূরে
একক রাখালিয়া বাঁশি
বলে যায় কানে কানে
ভালোবাসি ভালোবাসি...