আকাশে উড়ছে পাখি,
আমি বুঝলাম: আল্লাহ আছে।
আমি দুঃখ পাই মানুষের নিকট ভিক্ষা হাঁকি,
তৃপ্তি পাই যখন হৃদয় দিয়ে চাই
শুধুই আল্লাহর কাছে।
এখানে বোঝার কিছু আছে।

আমি বুঝলাম: আল্লাহ আছে;
তাঁর সৃষ্টির মাঝেই লুকোনো নিদর্শনÑ
সেসব আমার খুব কাছে,
তবে পাই না যে তার দর্শন?
আমি এতোই ক্ষুদ্র, যে আমি আমাকেই চিনি না;
আমি এতোই দরিদ্র, যে আমার বলতে আমার যা আছে,
তা হলো: ‘কিছুই না’।

চন্দ্র দেখি রাতে, আর সূর্য দেখি প্রাতে;
পরমাণু হতে মহাবিশ্বÑ
শিকলে বাঁধা এ দুনিয়াÑ
সবখানেই দেখি নিত্য,
সব চলে সূত্র মানিয়া;
বিশ্বে এ অমোঘ সত্য।
এতো নিয়ম মানানোর পিছে,
কার আছে এমন চিত্ত? এতো ক্ষমতাই বা কার কাছে?

বিশ্বনবীর আগমণও গুণাগুণের কিঞ্চিত
বেদ, বাইবেলে ও জেন্দাবেস্তায় ইঙ্গিতÑ
আর তাঁর কথায় ও কর্মে প্রত্যয়ন।
আমি বুঝলাম পাছে:
জান্নাতের কণার কাছে,
দুনিয়ার সব সুখ মিছে;
খোদার ডাকে পড়লে পিছে,
জবাব কী দেবো এজলাসে?

চলছে সত্যের লড়াই,
সৎ নিয়তে যুদ্ধে এসো ভাই,
তুমি জিতলে সহজ হবে
সত্যের বিজয়-পথ;
আর, মরলেও তুমি পাবে
সতত শহিদী ইজ্জত;
এই দুনিয়াতে মরে বা বেঁচে
হারাবার কিছুই কি তোমার আছে?
    জন্মকালে কী ছিল তোমার কাছে?
শোনো মুমিন মুসলমান
ইসলামের অমোঘ আহŸান:
দুনিয়ায় আর আখিরাতে
সকল জাতের মানুষেরা একপথে আর একসাথে
একই মিজানে পাবে একই বিচারÑ
মহান হাকিমের মহান সুবিচার।
দুনিয়ার সব ইনসান খোদার কাছে এক সমান,
কারো থেকেই কেউ বড় না।

শোনো হে দুনিয়ার মানুষেরা যত,
শোনো নিত্য অবিরত,
ঐযে বাজে চির-সত্যের আহŸান,
চির-নাজাতের আহŸান,
চির-আজাদীর আহŸান:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
এমন মুক্তির মধুর পথ,
এমন সাম্য-সুবিচারের শাশ্বত পথ,
আর কোথাও পাবে না।

হে বাংলাদেশি মুসলমান,
পূর্ণ করো ইমান,
বলোÑ হুব্বুল ওয়াতান, মিনাল ইমান,
বলোÑ হুব্বুল ওয়াতানে আমার ইমান।
দেখবে যখন দেশের ক্রান্তিকাল,
খোদার দেওয়া জান ও মাল,
রসুলের বাতলানো পথে,
দেশের খেদমতে বিলাতে
গাঁইগুঁই করবে না।

আল্লাহর দেওয়া জান ও মাল আল্লাহর কাছে
ফিরিয়ে দিতে, আল্লাহর ডাকে
বিলম্ব করার কী আছে?
আসল ঘরে ফেরার ডাকে,
আপত্তির কী আছে?
দুই দিনের দুনিয়ার এই সফর লম্বা করার কী আছে?
দেশ ও জনতার মুক্তির অভিলাসে,
বিবেকের ডাকে পড়লে পিছে,
জবাব কী দেবে এজলাসে,
আল্লাহ আর তাঁর রাসুলের কাছে?