পূজারিনী: পূজারিনী আমি যে এক হতভাগিনী—
নে মা পূজা মাগো আমার দুঃখহারিণী।।
পেটুক: খালি পেটে এসেছি মা তোর কাছে
সব খাবার দে তোর কাছে যত আছে।
বিরিয়ানী, পাঁঠার মাংস খেতে চাই আমি।
নে মা পূজা মাগো আমার অন্নদায়িনী।।
তান্ত্রিক: মন্ত্রশক্তি দে মা অতি গোপনে
আমি যেন রাজা হই ধনে-জনে।
ধন ছাড়া যে মন ভরে না কী করি আমি!
নে মা পূজা মাগো আমার ধনদায়িনী।।
মাতাল: মা—আমার, পেট না ভরিল, নেশা না হইল,
বোতলের মাল ফুরায় মা—
আমার এ জন্মেরই সাধ, গিলি শুধুই মদ,
পরজন্মেও যেন পাই মা।।
চোর: মাগো, গায়েন স্যারের বাড়িতে গিয়া
কিছুই পাইলাম না, মাগো—
সামনের ঘরে, কিছুই নাই
ভেতর-দরজা ভাঙছি তাই।
সোনার একখান হার ছাড়া
কিছুই পাইলাম না, মাগো—
এমন কায়দা শিখিয়ে দে মা,
তালা খুইল্যা যায়--
শেয়াল পেঁচার ডাহাডাহি,
বন্ধ হইয়া যায়।
(আবার) পোষা কুত্তায় ডাকলে আমার
প্রাণ তো বাঁচে না, মাগো।।
বিবেক: দুশ্চরিত্রে ভ’রে গেছে সারা দুনিয়া
করুণা কর মা এবার সুমতি দিয়া।
দেখি, এক পূজারীর লোভ-লালসার কামনা
আর, এক পূজারীর রাজা হবার বাসনা।
কেউ বা করে মদ্যপানের প্রার্থনা--
কেউ, চুরি শিখতে করে মায়ের ভজনা।
গায়েন বলে, সত্য পথে কর্ রে সাধনা!!