একুশ! একুশ!
- সামসুজ জামান
মনের সরস মাটি ফুঁড়ে ধ্বনি জাগে – ‘একুশ!একুশ!’
জানি এ ধ্বনি জাগাবে সারা বাংলার আনাচে-কানাচে।
হৃদয়ে ধূপের সুরভি, চতুর্দিকে জেগেছে মানুষ।
দিগন্তে উত্তাল হয়ে হাসিমুখে চাঁদ চেয়ে আছে।।
সেদিন ও ত চাঁদ ছিল পূবাকাশে ।
সেদিন ও দুরন্ত হৃদয়, গোলার্ধে- গোলার্ধে
ভালবাসার মন্ত্র ছড়িয়েছে।
বাংলাকে ভালবেসে একদল তরুন, দামাল
অহংকারে বুক ভরেছিল।
বাংলাতে শ্বাস টেনে নিয়ে তারা আর
নিমকহারামী করতে পারেনি।
বিপজ্জনক চিন্তার স্রোতে পৃথিবীকে
নাচাতে চেয়েছিল।
পরিবর্তে গলিত লাভার স্রোত
লাল টগবগে ধারা হয়ে বয়ে গেল দিগ্বিদিকে।
ঘুমিয়ে গেল সালাম, জব্বার,
বরকত, রফিক আর সফিউল্লার দল!
কিন্তু এ কেমন ঘুম?
তারা কবি না হয়ে ও , কবিদের ঘুম কেড়ে
স্বপ্ন-প্রেরণা হয়ে জাগিয়ে তোলে
কবিতার স্রোত!
রক্ত-নখরে টুঁটি টিপে যারা
হতচ্ছাড়াদের মা বলে ডাকার সাধ
চিরতরে লোপাট করতে চেয়েছিল,
কদাকার, বীভৎস সেই মুখগুলোই
থেকে গেল, ধিক্কার মিশ্রিত হয়ে।
আর নির্মল, নিষ্কাম ছেলেগুলো
জেগে রইল বুকের গভীর- গহনে।
আজ ও তাই --------
মনের সরস মাটি ফুঁড়ে ধ্বনি জাগে – ‘একুশ!একুশ!’
ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয় মাতৃভাষার জন্যে মহোৎসব!
আজ সংসদ মুখর করে মাতৃভাষা বলছে জাগ্রত মানুষ।
দিকে- দিকে জেগে ওঠে একুশকে স্বীকৃতির রব।