মাঝে মাঝে নীল জোছনায়
শেওলা পরা ছাদে
ঝিঁ ঝিঁ ডাকা ভয় শিশিরের শীত
মায়াবি চাঁদের সাথে
জেগে থাকি আর ছুঁয়ে দেখি তার স্পর্শ কাঁপা হাতে।
চেয়ে দেখি সাদা আকাশটা
তাতে রাত ঘুম কড়া নাড়ে,
ঝাপসা দু চোখে খুজে ফিরি নীড় নীলাভ তারার পাড়ে।
সে যে ডাকছে আমায় মিশব কবে?
কি জানি কে বা জানে
শুধু অপলক চেয়ে চেয়ে রই,
কী সে শিহরণ প্রাণে
-
কী সে শিহরণ প্রাণের অতলে
কী নেশা গো জাগে তায়,
হঠাৎ কেমন হৃদয়টা কাঁপে
ঝিরঝিরে ছুটা বায়।
আমি
দাড়িয়ে তবু আকাশটা দেখছি,
মহাকাব্যের পর্বগুলোর অন্তিম কোথা ভাবছি।
সে ও এসে গেছে
আমার ঠিক পাশে
কী আকুলতা,কী যন্ত্রনা-ব্যথা তার প্রতিটি নিশ্বাসে!
কী নেশায় বুদ হয়ে তাকে ছুঁয়ে দেখি
চমকে উঠি!
কী শীতল
কী কোমল
কী জীবন্ত
কী সত্য
কী নির্মম কী কষ্ট
কী.........না না না!
দূরে ডেকে উঠে ডাহুকের ঝাঁক
বুনো শেয়ালের দল,
টুপ্টাপ্ ঝরে সুবাস দানা
ভরা বকুলের তল
শনশন গাহে বাতাসের সূর পাতার সানাই বাজে
চাঁদটাকে ঢেকে মেঘের সান্ত্রী রাতের আঁধারী সাজে!
চোখ তুলে দেখি
বেলা পড়ে এলো
চাঁদনী রাতের বুকে
ধীরে ধীরে সে যে চায় ছুঁতে চায় আমার এ আত্মাকে!
পড়ে এলো বেলা
নিভে গেল......
চলি চলি যাই বেলা পড়ে এল
চল যাই এইবার
বেলা পড়ে এল দিতে হবে পাড়ি ওপাড়ের পারাপার!