আমি মরে গেলে কদিন কাঁদবে তুমি ?
একদিন, দুই দিন? দশ দিন বা মাস?
না কি বছর? তোমার খুব কাছ ঘেসে আর কেউ বসে না
ঠান্ডা ডাল টা দৌড়ে গরম করে পাতে বেড়ে দেয় না
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখটা কাটতে গিয়ে
তুমি ব্যাথা পাচ্ছো এই ভেবে
উফ বলে গুংিয়ে ওঠে না কোন কণ্ঠ
টের পাও ?
যে মানুষটা তোমার চুলে আদরের আঙ্গুল বোলাতো
মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম গানটির সাথে
বেসুরো গলা মেলাতো
গরম চায়ের সাথে ডালপুরি বা ছাঁচ পিঠা বানিয়ে
তোমার ঘরে ফেরার পথের সাথে কাটাকুটি খেলতো।
সে নেই কোত্থাও।
ড্রয়িং রুমে ঝোলানো পেইন্টিং এ ,
সোফার গায়ের কাপড়ে ফুটে থাকা ফুলে
দরজার পাপশের পাশে অপেক্ষমান দুই ফিতের সেন্ডেলে, কোত্থাও নেই সে ।
রান্নাঘরে মশলার ঝাঁজে কেউ কেশে উঠছে না
প্রতি ঘন্টায় ফোন করে জীবন অতিষ্ঠ করছে না
বৈশাখে লাল চুড়ি চাই, এমন বায়নায় মুখ হপ করে
উপোস করছে না কেউ
এত এত নিঃশব্দতার ভিড়ে
খুঁজে ফেরো কোন গোপন ফিসফাস ?
পিঠে বেড়ে ওঠা বিষফোঁড়া টার মুখ খুলতে
নরম তুলোয় বোরিক পাউডারের সেঁক দেয় আর কেউ ?
শুতে এসে পাশের বালিশে লেপ্টে থাকা চুলে
চেনা গন্ধ খুঁজেছ কখনো সখনো ?
রাতের আকাশে জোছনার চাঁদ দেখলে কেন যেন
মৃত্যুর সাধ জাগতো তোমার
আজো কি, একা , কোন ভরা পূর্ণিমায়
চাঁদের বুড়ির সাথে
ঝগড়ায় মেতে ওঠো তুমি ?
সত্যি করে বলো তো
আমি মরে গেলে ঠিক ক'দিন কাঁদবে তুমি ?