স্বপ্নিল ভালোবাসার ক্রমাগত উৎপীড়নকে,
গত যুগান্তরে জাপটে শুইয়ে দিয়েছি কবরে।
আবেগ মাখা হৃদয় মোচড়ানো নিত্য আশার পীড়াকে,
আদিকালেই সারিয়ে তুলেছি কাজল মেঘের পানিতে।
চার কুঠুরির নঁকশা আঁকা নিত্যকার দুয়ারে,
পোড়া প্রেমের খিল দিয়েছি কবেই।
কুড়িয়ে পাওয়া বসন্তের ধূলোকে,
কবেই রংধনুর রঙ সাতকে সাতশ করেছি।
আমি তো কবেই ভূমিস্যাত করেছি স্পর্শ।
চিরে চৌচির করেছি না ফোটা পাপড়ি।
মাকড়সার অসামাজিক জালে ঢেকেছি
কোনার জঞ্জালে মধ্যযুগীয় আধুনিক তেজি রোদ।
ধূসর খোলা চোখে অমাবস্যায় চুমু একেছি,
ঘিনঘিনে তারার তামাশায় মধ্যরাতে।
চেয়েছি মানুষ আঁকা চারপাশে
বুনো তুলি খামচে সব ঘেটে দিয়ে যাক।
তখন রক্তাক্ত গোধুলিতে পানকৌড়িরা
অযথা নিয়মের ফিরতিতে শতভাষী হয়েও নির্বাক।
কর্ণগুহরে বয়ে চলছে চলুক অনিবার্য
এক মধ্যরাতের ডাক।