মাঠের কোণে নীরবে ফোটা ঘাসফুল,
নির্বাক যেন প্রার্থনা, প্রকৃতির ফুল,
মাটির কোলে জন্ম, রোদে বাঁচে প্রাণ,
নদীর বাতাসে নাচে তার সুরময় গান।
কখনো কি ভেবেছো, কত ছোট সে জীবন,
তবু রঙ ছড়িয়ে দেয় দিগন্তের প্রান্তে অনুক্ষণ,
তার কোনো দাবি নেই, নেই কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা,
নিরহংকার সে, তবু কী অপার স্নেহের ছোঁয়া।
পাখিদের সাথী, শিশিরের পরশে সে জাগে,
সূর্যের আলোক ছুঁয়ে প্রতিদিন স্বপ্ন বোনে,
মাটির গভীরে বুনে যায় ভালোবাসার বীজ,
পথিকের পায়ের নিচে নীরবে দেয় আশ্রয়, নীরব উৎসবের রীজ।
বৃষ্টির ধারা তার রূপে আনে নয়া কাব্য,
তীব্র ঝড়ে ঝাঁকুনি খেলেও থাকে তার সব্য।
তার জীবনের সৌন্দর্য দেখি না শুধু চোখে,
তার চুপচাপ অস্তিত্ব কথা বলে পৃথিবীর সব রোকে।
ঘাসফুল জানে, সময় ক্ষণিকের, তবু সে অমল,
যে দেখে, সে বোঝে—সে তো এক জীবনের দলিল।
মাটির কাছে নিবেদন তার —তুমি আমায় রাখো,
আমি ফুল হয়ে, তোমার সাথে ভালোবেসে থাকবো।
তাহার আছে ছোট্ট ইচ্ছা, ছোট্ট স্বপ্ন,
তবু হৃদয়ে বুনেছে অসীমের এক সুর,
নিঃশব্দে শিখিয়ে যায় বেঁচে থাকার পাঠ,
ক্ষুদ্র হও, তবু দাও—তবে হয় সম্পূর্ণ আত্মার জ্ঞাত।