জুলাইয়ে রক্তাক্ত সকাল,
লাল কুয়াশার ভোর,
শহরজুড়ে বয়ে যায় কান্না,
ভেঙে পড়ে দরজায় ভোরের সুর।
কত শত প্রাণের দাবি,
অধিকার ছিনিয়ে নিতে চায়,
রক্তে লাল হয়ে যায় মাটি,
শূন্যে ভেসে যায় বেদনায়।
আলোর পথে চলতে গিয়ে,
মাটির ঘ্রাণে মিশে যায় রক্তের গন্ধ,
বুক চিরে আসে গুলির আওয়াজ,
তবু ভয়ে পিছু হাঁটে না কেউ।
স্বাধীনতার কথা বলি যারা,
তাদের মুখে ছিল অবিচারের গল্প,
শাসকের চোখে ছিল ক্রোধের আগুন,
তবু থামেনি কখনো সেই প্রেমিকের দল।
তাদের বুকের ভেতর আগুন,
নজরুলের গানে খুঁজে পায় প্রেরণা,
সেই লৌহ কপাট ভেঙে ফেলতে,
তারা গেয়েছে নতুন রচনা।
“কারার ঐ লৌহ কপাট” যখন বাজে,
বুকের ভেতর ঝড় ওঠে সবার,
তাদের কণ্ঠে বেজে ওঠে বিদ্রোহী সুর,
প্রতিধ্বনি তোলে বাংলার চারিদিকে।
রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে,
সেই বিদ্রোহী সুরের ঝংকার,
লেখা হয় দেয়ালে দেয়ালে,
আন্দোলনের গান, আন্দোলনের পত্র।
জুলাই মাসে গড়ে ওঠে ইতিহাস,
রক্তে লেখা সেই সংগ্রামের কবিতা,
প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে,
এই রক্তাক্ত জুলাই থেকে যাবে চিরকাল।
বিদ্রোহের আগুন নিভবে না,
যতক্ষণ পর্যন্ত এই ভূমি,
এই মাটি, এই আকাশ জানে,
নজরুলের গান বেজে চলবে নিরন্তর।
শোষকের পতনের মুহূর্তে,
তারুণ্যের সেই অঙ্গীকার,
"লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে,"
এই সুর বেজে উঠবে যতদিন অবিচার।
কালের পাতায় লেখা হবে,
জুলাইয়ের সেই রক্তাক্ত গান,
তরুণের সেই দুর্দম স্বপ্ন,
নজরুলের প্রেরণায় উজ্জীবিত প্রাণ।
এইভাবেই চলবে প্রতিরোধ,
এইভাবেই থাকবে অটুট স্পৃহা,
এইভাবেই লিখে যাবে তারা,
রক্তাক্ত জুলাইয়ের ইতিহাস, সংগ্রামের কবিতা।