অবুঝের পেন্সিল - কিছুই আঁকা হলোনা
অথচ,
পৃথিবীটা সুন্দর ছিল, মানুষগুলোও -
আঁকিয়ের কাছে দুর্লভ জলজ্যান্ত কতশত বিষয় ছিল।
মানুষ ছিল দারুন কিছু, সহস্র অমানুষের ভীড়ে।
অমানুষগুলো দেখতে অবিকল মানুষের মতোই,
দানবের মতো নখগুলো দিব্যি লুকিয়ে রাখে,
অমানুষেরা প্রতিটা করমর্দনে।
আর,
বাহারী ফুল ছিল, সহস্র সবুজ পাতার দেশে -
গোলাপ বনে গোলাপ, নানান রকম-সকমে,
টিউলিপের ঝাড়ে হরেক রঙের বাহার -
গোলাপি, লাল, হলুদ, সাদা আরও
এতশত বর্ণের মাঝে বিবর্ণ অনুভূতি ....।
কোনো ফরমায় বাঁধা তো নেই কারো হৃদয়াচরণ।
বুঝিবা,
প্রজাপতির জন্যে সেজে ব্যাকুল,
বা অলিরা ডানা ঝাপটে ছড়িয়ে পরাগ
বিপুল বিস্তারে দেবে জন্মান্তরের তৃপ্তি।
সে কি ঘ্রাণের টানে!
নাকি শোভার আমন্ত্রণে,
কে জানে তার খোঁজ ?
সঙ্গোপনে,
আমার আঁকিয়ে সবুজ মন যায় হারিয়ে
কোটি সবুজ পাতার ভীড়ে।
পাতারা যখন পাতাবাহারে মনোমুগ্ধকর
সবুজ ছাপিয়ে রঙ্গীলা কলেবর,
একটি সবুজ ফুলের খোঁজে
আমার হা-পিত্যেশ - মিলন হবে কতদিনে!
দেখেছি,
সুন্দরের ভিতর অসুন্দরের বসবাস ...
অসুন্দরের রকমসকম কতো,
চুপ করে ভাবনায় মন দিয়ে দিনযাপন
এবং রাত্রিযাপনের প্রস্তুতির সলতে জ্বালা
এমনি করে, ওমনি করে হাঁসফাঁস,
এপাশ-ওপাশ, দীর্ঘশ্বাস।
কেন যেন,
শীতের দিনে ওমের খোঁজ, বিবর্ণ ব্যাকুলতা
চিঁড়ধরা হৃদপুঞ্জে নীল সরোবর ..............
নীলাকাশ থেকে কতো আলাদা।
কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি পারলো কি
সে নিদারুন হতাশা লুকাতে!
হৃদয়ঘটিত বিষয়ে গ্লানিহীন সব প্রতীক্ষা।
বেলাশেষে,
কিছুই আঁকা হলো না, কিছুই আঁকা হয় না।
অবশ্য পোড়া চোখে যা দেখি
বেবাক আঁকতে গেলে, এক জীবন চট করে
হবে পার আর অজাতশত্রু নাম যাবে ঘুচে
কার কোন বাড়াভাতে পড়বে ছাই...
পড়ুক গে, সহীষ্ণু প্রতীক্ষা দামী।
তাই,
ত্রিসীমার নিরিখে অশেষ থাকুক সবি।
আঁকিয়ে বা পটুয়া নামে ডাকবে যে কেউ
কোথায় সে অবসর!
ব্যস্ততার হাটে শশব্যস্ত মানুষ বিকোবে
অবাক হবার প্রশ্ন অবান্তর!
অনুভূতি ভোঁতা হয়ে বিব্রত সজোরে।
যদিও,
আজকালের রোজনামচায়
স্বার্থের বেলা সেয়ানা বনে যায় সবে
শক্তিধরেরা ক্ষমতার পেশীর ঝলকের টানে
নেয় ছিনিয়ে সোনা, বিবেকের লাশ ডিঙ্গিয়ে।
কে ইঁদুর দৌড়ে হলো বিজয়ী আর
কার তরে লুকিয়ে রাখি মুকুট?
শুনেছি,
ইদানীং তারারাও নাকি যুদ্ধে যাচ্ছে়
স্টার ওয়ার্সের আদলে।
সব যুদ্ধেই নাকি হার হয়ে যায়
সবুজ বন আর প্রকৃতির
আমার সবুজ মন যদি যায় হেরে
কার তাতে লাভ.....কার ই বা সামান্য ক্ষতি!