প্রতিরাতে
আঁধারের কত হরেক রং
আলোর চেয়ে ঢের আলোয় মাখামাখি।
আশার স্রোতের তোড় এবং
আশার ভেলায় আসন পেতে ডাকাডাকি।
প্রতিবার
জীবনের চকমকি পাথর ঠুঁকে আলো
যতবার পিদিমের সলতে জ্বেলে যাই,
আঁধারি চাদর যতই কালো
হলদে পাখির মতন ঝলক ফিরে পাই।
আড়ষ্ট
জীবন চাদরে ঢেকে দিয়ে সব শবে
চারিদিকে পাষানিরা কয় নাই নাই।
সুমতিভ্রষ্ট দুর্ভাগা সব যবে
অমানিষার কৃষ্ণকালো রং বলে যাই যাই।
একদিন
হলদে আলো সলতে পুড়ে ফিঁকে
ক্ষনিক বাদে চাদর মুড়ে ঘিরবে পিদিম সব
সব শবে ক্লান্ত যাত্রাশেষে সেইদিকে
বলি হররোজ মিছে জ্বালা মিথ্যে কলরব।
তারপর
আঁধারের গা ঘেঁষে আঁটসাঁট সে ঘর
অনন্ত যাত্রা শেষে সব-শব নীরব নিথর।
দু’ফোঁটা অশ্রুজলের স্রোতহীন লোনা চরাচর।
দু’দন্ড অবসর সব দুর্দন্ড প্রতাপ প্রবর।
তবু
মিছে ভাবি রেখে আসি তারে হেথা অনন্তর।
সেই দেশে কোনবেশে ভ্রমনপিয়াসী যে নর।
সাধ্য কি জুড়ে রয় তার অচিন সে নবঘর !
একা পুণ: যাবে ত্যাগি এ চেনা চরাচর...।