শিরশির বাতাসে নিশীথ ফুলের গন্ধে
সাথে আষাঢের বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে
নিমজ্জিত মনকে জাগিয়ে দিলো এক মুহুর্তে ই।
চারিদিকে ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্কারাচ্ছন্ন ধমকা হাওয়া
সারাক্ষণ হাইওয়ে রোডে দ্রুতগামী গাড়ির শা শা
শো শো শব্দ ঝলমল নিশীথ কে কুহেলিত করে তুলে।
মেঘের আবেশে চাঁদের দেখা না পেলেও আলো ছড়ায়
হাজারো মন খারাপের তারার মেলায় ।
রাতের অল্প সময়ের অপরুপ দৃশ্য আসলেই আমার পরাণের গহীন দৃশ্য চুরি করে নিয়ে যায়।
হায়রে নিশীত রাতের নাচন আষাঢ়!
সারাদিনের ব্যস্ততা মনের গ্লানিবোধটুকু
জেরে ফেলে দেই সাগরের বিশালতায়।
যখন দেখি কর্মময় ক্লান্তিকর পাখিরা নিজ নীড়ে ঘুমায়
তখন আমার হৃদয়ে জমে থাকা কষ্টের অনুভূতি গুলি
ধীরেধীরে মানবতার আসরে ফিরে এসে মালা গেঁথে।
আর ঝরে যাওয়া ছন্দপতনের পাপড়িগুলো এসে
তখন ভীর জমায় আমার স্রোত বিহীন কলম নদীতে
দিয়ে যায় নিশীতের একপশলা বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দ।
খুশিতে উপরে তাকালেই নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা যেন উপহার দেয় একঝাঁক উড়ন্ত পাখির পালক।
চমকিত হয়ে আমার ভাবনাকে চুম্বন দেই
একগুচ্ছ নিশীথ ফুলের সমাহারে।