ঘষা খেলে দিশা হয়
নেশা খেলে হয় কী ?
হাড়ে বাজে ডুগডুগি
উম-ঘুম রয় কি ?
শুনে বলে নেশাখোর
ব্যাটা এটা কয় কি
না- খেলে নেশাটেশা
মন রাঙা হয় কি ?
যা-হয় হোক গে
হিরোইন ফোঁক গে
গাঞ্জার কলকি
ছাড়া আছে বল কি ?
আফিং আর চরসে
মার টান সরোষে
না- নিলে প্যাথডিন
রক্তে কি বাজে বীণ ?
শুনে বলে বৈদ্য
ছাড়ো এটা অদ্য
তা নাহলে ধুঁকে ধুঁকে
যাবে মারা সদ্য ।
(দৃষ্টি আকর্ষণ: - সম্মানিয় কবি বন্ধুরা মাত্রাবৃত্তে লিখা এ ছড়াতে একটা ভিন্নতা আছে।তা হচ্ছে, “না- খেলে”/ “ যা- হয়”/ “ না- নিলে” প্রতিটি স্বাভাবিক নিয়মে তিন মাত্রার পর্ব। কিন্তু এখানে বক্তব্যে তীব্রতা আনার স্বর্থে নিয়ম ভেঙে শব্দত্রয়ে জোর প্রয়োগ করার স্বার্থে চার মাত্রা বিবেচনা করা হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ১৯ নং চরণে “তা নাহলে” এর ‘তা’ কিন্তু এক মাত্রা বিবেচনা করা হয়েছে। কেননা ‘তা’ কে দুই এবং পূর্বোক্ত “না/ যা/ না” এক মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করলে ছড়াটি ছন্দের দিক থেকে মাঠে মারা যায় বলে মনে হয়। জানি নিয়ম নষ্ট হবার বিপদ আছে, তবুও একটা পরীক্ষা চালিয়েছিলাম।পরীক্ষক কবি বন্ধুরা পাশ করলাম কি- না ?)