পাবলিক একটা ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে ছেলে
খোকার গর্বে বাপ-মায়ের মন খুশিতে ঢেউ খেলে।

দশ-জনেরে বলেন তাঁরা পাড়ায় বাটেন মিষ্টি
প্রশংসাতে দেন ভাসিয়ে আশ-পড়শী ইষ্টি
কেউবা বলেন,”কপাল গুণে এমন ছেলে পেলে”।

বাপ-মা চলেন কষ্টে-সৃষ্টে ছেলের খরচ দেড়া
ভালো যেন থাকে যাদু, হয় যেন সব সেরা
বিক্রি হলো হালের বলদ অবস্থা বিটকেলে।

পাশ দিতে আর নাই বেশি দিন হঠাৎ করে শুনেন সেদিন
ছাত্রে ছাত্রে হানাহানি, জীবন নিয়ে টানাটানি,
কজন নাকি পড়ছে মারা – ‍‍শুনে মায়ের ঝুরছে ধারা
আশঙ্কাতে বসে থাকেন ব্যথার প্রদীপ জ্বেলে।

মায়ে সন্ধ্যারাতে চেয়ে দেখেন একটা লাশের গাড়ি
চারপায়া এক খাটে শুয়ে ফিরছে খোকা বাড়ি
উন্মাদিনী মা বলে,”বাপ কোথায় গেলি ফেলে”।

বাপে কান্দে বিলাপ করে দেখে ছেলের লাশ
ফিরাইয়া দাও সোনার মানিক চাইনা ডিগ্রি– পাশ
ছেলে আমার বাড়ি বসেই কাটুক ঘোড়ার ঘাস
আর কিছু ধন চাইনা আমার ছেলে ফেরত পেলে।

ভার্সিটিতে গেলে ছেলে হবে জ্ঞানী-গুণী
তারা কেন পড়ছে মারা, করছে কারা খুনি?
জবাব কিছু আছেনি স্যার– থাকলে কন না শুনি?
সিঁড়ি কইরা তাদের নিয়া কন না কারা খেলে?

যশোর
২০১৫