ছড়াক্কা-১

ভাণ্ড ভরা কাণ্ড দেখে চাপ পড়েছে মাথায় –
এখানে লোপাট ওখানে মরণ
স্নায়ুর পাড়ায় রক্ত-ক্ষরণ
যাচ্ছে কমে শর্করা
আনছে চিঠি হরকরা
কী সব বলে ঋষভগুলো ফেলছে পিষে যাঁতায়।

ছড়াক্কা ২

এই শ্রাবণে মেঘ গুড় গুড় বৃষ্টি পড়ে ঝুম
তিতাস নদীর পানি
করছে কানাকানি
জলে ভাসে পানা
পানায় ডাহুক ছানা
পাখনা মেলে আগলে ছানা মা দেয় ঠোঁটে চুম।

বি:দ্র:- 'ছড়াক্কা' ভারতের এক গুণি ছড়া গবেষকের তৈরকৃত চমৎকার  ছড়া কাঠামো। এর জনক জনাব সতীশ বিশ্বাস। ৬ লাইনে লিখিত এ ছড়া। ১ম এবং ৬ষ্ঠ লাইন সমান মাত্রার সমিল। ২,৩,৪,৫ নং লাইন ১,৬ লাইনের থেকে কম মাত্রাবিশিষ্ট ও ভিন্ন মিলের। মিলবিন্যাস কখখগগক, কিংবা কখগখগক । তিনি ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে লিমেরিক লিখতে গিয়ে স্বতন্ত্র ধারার এ ছড়া ফর্ম তৈরি করেন এবং একে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ছড়াক্কা নিয়েই নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ করেন। বর্তমানে এটি  বেশ জনপ্রিয়।
আমরা ভিনভাষার কাব্য কাঠামো(Form) নিয়ে কাজ করতে পারলে বাংলাভাষার গবেষকদের ফর্ম নিয়ে কেন কাজ করতে পারব না? আসুন সকল ফুলকে ভালোবাসি।নতুন চিন্তা সমাদৃত হোক।এ রচনা তাঁর সম্মানে নিবেদিত।