আমার যাওয়া হলো না এক ব্যথার বাঁশি
আমার যাওয়া হলো না কবিতায় কবি জাহিদ হোসেন রনজু বলতে চেয়েছেন জাগতিক অনুসঙ্গ কবির পরম প্রিয়ার সাথে মিলনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কবি তাই বিরহ ব্যথায় ব্যথাতুর। যেমন ব্যথাতুর ছিলেন ফারসি কবি আল্লামা জালাল উাদ্দন রুমী‘র বাঁশি। আমরা শুনি বাঁশি বাজে। মসনিবীতে রুমী শুনেছিলেন বাঁশঝাড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বাঁশির কান্না।এ কান্না প্রিয় বিচ্ছেদের। মূল থেকে ছিন্ন হওয়ার। মূল ফিরে পাওয়ার।
ক্রৌঞ্চবধের বেদনাবিধুর ঘটনা দেখেই আদিকবি বাল্মীকির মনে শ্লোক তথা কবিতার উৎসারণ ঘটেছিল । সেখানেও পাখিজুটির প্রেম,শরাহত হওয়ার বেদনা এবং বিচ্ছেদ ছিল। আমার যাওয়া হলো না কবিতায়ও কবি সারলিক বয়ানে ব্যথার বাঁশি বাজিয়ে বিরহদগ্ধ হৃদয়ের আকুতি ঢেলে দিয়েছেন। আমাদের মধুরতম সংগীত তো তা-ই যা বেদনার কথা বলে। কবির ব্যথা পাঠক হৃদয়কেও বেদনার্ত করে তুলবে আশা করি। ভালোবাসা হলো না বলেও তিনি ভালোবাসার জন্যই আকুতি ঢেলে দিতে চেয়েছেন।
সুন্দর কবিতার জন্য কবিকে শুভেচ্ছা জানাই।