....

                               শীত-গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষার ঝতুতে
                      চোখে পড়ে শহর কিংবা গ্রামের অলিতে গলিতে
                            কত অনাথ! কত অসহায়! কত অধম!
                                   পড়ে রয়েছে অনাহারে।
                          দেখে না চাহিয়া কেহ তাহাদের পানে।

                              তনু তে নাহি বস্ত্র, পেটে নাহি অন্ন-
                                ক্ষুধা র যন্ত্রণায় ছটফট করে।  
                          গভীর রাত্রিতে নীরব নিস্তব্ধ চারি পাশ।
                 পোস্ট ল্যাম্পের নীচে চোখে পড়ে সারি সারি জীবন্ত লাস।

            মাঝে মাঝে ভেসে আসে শেয়াল কুকুরের নিরবচ্ছিন্ন কান্নার আওয়াজ
           সারা দিনের হাড় ভাঙ্গা খাটুনি তে ক্লান্ত তন্দ্রাচ্ছন্ন চক্ষু তে মৃত্তিকার ছাঁচ।

                        ভোরের সোনালী রোদ্দুরে  ভেঙ্গে যায় ঘুম।
                         ছুটে চলে আবার সেই মহাজনের দ্বারে।
                           নির্যাতন নিপীড়নের যন্ত্রণা সহ্য করে,
                             তবুও একমুঠ আহারে র আশায়-
                             হাড় ভাঙ্গা শ্রম মাথা পেতে করে।

                    গ্রীষ্মের পাথর ফাটা রোদ তাহাদের তনু তে ঝরে।
                      বর্ষার ক্ষরশ্রোত ধারায় অবিরাম বয়ে চলে-
                       কখনও বা শীতের ঠাণ্ডায় দেহে বরফ জমে।

                                নির্মম নিষ্ঠুর এই ধরায়,
       অশ্রু সিক্ত দুই নয়নের জল তাহাদের পোড়া কাষ্ঠে র হ্রদয়ে শুকায়।
                      ক্ষণিকের এই ধরায় তারা বড় ই অসহায়।

২৩শে নভেম্বর ২০১৮
রসুলপুর,বাংলাদেশ।