হে প্রকৃতি,এ কেমন রুদ্র রূপ
তপ্ত খরা গ্রীষ্মে. বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে
বসন্তে আবার সে কি অপরূপ
ধরিত্রী লাগে বড়ই যে মিঠে।
নাও গো তুমি কিসের এ শোধ
দাও সে কাল বৈশাখী ছোবল;
কেন যে তোমার এত ক্রোধ
কর গো তছনছ সবই নিশ্চল।
বৈশাখে করি কত মিনতি সবি
করি বরণ,পুষ্পে অভিনন্দন;
করি কামনা,যেন হই গো রবি
আকুতি,পূর্ণ যেন হয় স্বপন।
বারে বারে তবু হও তুমি রুদ্র
শুধু কর গরীবের কত বিনষ্ট;
বুঝি না তবে,কেন এতো ক্ষুব্ধ
ভুলে যাও তোমার আচার শিষ্ট।
বছরেরই শুরুতে,নৃত্যে সঙ্গীতে
বলি ‘স্বাগত,এসো হে বৈশাখ’;
তবু কৈ তোমার রাগ ভাঙ্গে তাতে
দেখি ঐ কষাঘাত ঐ রক্ত আঁখ।
নাই বা দিলে আরাম দাবদাহে
একটু ঝির ঝির বৃষ্টি পরশে
দিলেই বা একটু স্বস্তি হিমবাহে
একটু মমতা ছোঁয়া ভালোবেসে।
করেছিলাম পেশ সে স্বপন কত
সঁপেছিলাম তুমে তনু মন ধন;
ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে শেষে অনুতপ্ত
ভরে দিলে আমে কাঁঠালে কানন।