এ ধরিত্রী যেন জনম দুখিনী
আষাঢ় শ্রাবণে বড়ো অভিমানী;
কেঁদে কেঁদে ভাসায় যে তার বুক
নেই যেন মনে এক ফোঁটা সুখ।
নদীর বাঁকে ঐ চর গেছে ডুবে
ঐ আকাশটাও যে অদৃশ্য তবে;
ভেজা দু’টি আঁখিতে খুঁজে চলেতো
পায় কি শরৎ ? নাকি হয় ব্যর্থ।
প্রতীক্ষায় থেকে থেকে একদিন
এসে গেল তবে সে ভাদ্র আশ্বিন;
ধরিত্রী মা মনভরে কত হাসে
ঐ সে বালুচর উঠেছে যে ভেসে।
চিক চিক করছে সেই সে বালি
আকাশেও ভাসে মেঘ এক ফালি;
পাহাড়ের ফাঁকে শশী দেয় উঁকি
পূর্ণিমায় ধরা কত রূপসী সে কি !
বাতাসে দুলছে ঐ যে কাশবন
সাদা ফুলগুলো হাসে সারাক্ষণ;
নৌকা কত যাচ্ছে ঐ সে তেপান্তরে
ধরা কত পরিপাটি স্নান সেরে !
ধরিত্রী মা সেজেছেও অপরূপ
দেখি শরতেই মার হাসিমুখ।