আমাকে যে করে তা উন্মাদ
তোমাদের এই প্রশ্নবাণ;
সবারই সেই এক প্রশ্ন
কোথায় ঈশ্বর ভগবান ?
যতসব কুকর্ম ধরায়
কেহ কি শুনে কারো নিষেধ;
করে তারা কত যে অবাধে
পশু মানবে নেই প্রভেদ।
যে বিজ্ঞান এলো পৃথিবীতে
মানব হিতে হবে ব্যবহার;
ধ্বংস চিন্তনই মননে
শুভ চিন্তা করি পরিহার।
কোথায় তবে এই মানব
পেয়েছে প্রভুত্ব এ শ্রেষ্ঠত্ব ?
নজির তো দেখি না কিছুই
দেখি,গেছে ছাড়িয়ে পশুত্ব।
এ মানুষই রচে সভ্যতা
মানব রক্তে গড়ে এ শহর;
মানুষে বিরাজ বর্বরতা
এ মানবেই জন্মে খচ্চর।
এ মানব জাতিই আবার
হয় সে মহান সম্মানিত
আবার কখনো ক্রুশবিদ্ধ
লুন্ঠিত আর অবদমিত।
জন্মের সে লগন থেকেই
মৃত্যুর যে বড় কাছাকাছি;
ক্ষুধার্ত অস্থির উদগ্রীব
এ জীবন খেলা মিছিমিছি।
বেঁচে থাকি করি সংঘর্ষ
বাঁচি প্রেমপ্রীতি ভালোবেসে;
কখনো অন্তরে সুখবন্যা
কখনো ভরা শুধুই বিষে।
তবু কেন কৌতূহল এত
কেন এত শত প্রশ্নবাণ ?
করবে নালিশ কার কাছে
নীরব সে ঈশ্বর ভগবান।
রচনা কাল:২০১১