তুই সদাই মুষড়ে পড়তিস
করতিস অনেক হুলুস্থুল;
কত বলতিস,কারো জন্যই
কিছু করলে হতিস ধন্যই
ও করেছে হাসপাতাল,কত যে স্কুল।
‘আমি তবে করিনি কারো সেবা
বোধহয় আমি মানুষ নই’;
আমি তো সদাই দেখেছি তোকে
কাঁদতিস যে মানুষের শোকে
কোথাও আজ সে ভাবনার সাক্ষ্য কই।
সে ছোট ছোট কত শত ত্যাগ
করতিস যে তুই দৈনন্দিন;
ভুলেও যেতিস পরক্ষণেই
যার কোন সাক্ষ্য প্রমান নেই
কত ত্যাগ তুই করেছিস চিরদিন।
দেখিনি আমি তোর মত কেউ
চায় না কখনো খ্যাতি ভূষন;
অন্ধকে করলি সেদিন ভিড়ে
রাস্তা পার,সে হাতখানি ধরে
অভুক্ত থেকেও বিলতে খাদ্য বসন।
ছোট ছোট ত্যাগ কে রাখে মনে
তুই করতিস যা মনে প্রাণে;
ত্যাগ করে সবি গেলি আড়ালে
চলে গেলি শেষে সবই ফেলে
এত ত্যাগ তোর মত করেছে ক’জনে ?
সেদিন ঐ বাসে প্রচন্ড ভিড়ে
হেসে হেসে ছেড়ে দিলি আসন;
আর নিজে গেলি দাঁড়িয়ে সাভার
দীন ধনী ছোট বড় আবার
সবারে দিতিস তুই সম্মান ও মন।
যখনই কেঊ হতো শিকার
ঐ সবলের,করতো শোষন;
গর্জে উঠতিস,দাঁড়িয়ে পাশে
এত প্রেম ভালবাসা মানুষে
সুন্দর সে মনন করতিস পোষন।
একটি যে বড় সাদা মানুষ
করতিস মানুষের মঙ্গল;
যদিও তোর কানাকড়ি নেই
তোর মত তবে হিতৈষী কই
মনে হলে চোখ ফেটে ঝরে পড়ে জল।
(আমার অনুরোধে
কবি অরুন কারফা কর্তৃক
এই কবিতাটি সংশোধিত ও সম্পাদিত।)