নদীর এই পার ভাঙ্গে
ও পারে আবার জেগে উঠে বালুচর
যে পুষ্পরেণু হলো চুরি
মৌচাকে তা মধু,বানায় সে মধুকর।
নদীর সে আনন্দ ঢেউ
বুকে তার কোমল জল থাকে যে শুয়ে
চৈত্রের দাপটে আবার
আকাশের বুকে যায় চলে মেঘ হয়ে।
মরুভূমির ধু ধু মাঠে
জলের খোঁজে সবাই যেন মাথা কোটে
যদিও নেই জল কোথা
তাই তো মরীচিকা আসে সে দৃশ্যপটে।
যবে থাকবো না আমি
পৃথিবীর কি হবে,তা এমনই রবে
দেখবে কত শত আমি
আসবে,দখল নেবে মুহূর্তে এ ভবে।
আজ যে ফুল গেল ঝরে
যতই সুরভী হেথা গেল সে বিলিয়ে
তবু হলো না সব সাঙ্গ
কত সে অলি প্রসূন খোঁজে গেয়ে গেয়ে।
এমন করে হবে পূর্ণ
সকল এই শূন্যতা এ আজব ভবে
যে হৃদয় প্রেমশূন্য
তাও কোন ভাবে ভরবে তবে নীরবে।
রচনা:২০১০