ভালোবাসার সাধ জাগে প্রাণে
অতি নিবিড়ভাবে, যদিও জানে
ভালোবাসার মতো কেউ নেই কাছে
এত রাতে। তবু মন জেগে আছে
চুপ হয়ে-যদি কারো চেনা কন্ঠ
শোনা যায় এই ভেবে স্মৃতির সবগুলো
চোরা পথ খুঁজে দেখে: হয়তো
কোনা নাম,কারে ছবি আজো আছে,
হয়তো তাকেই ভালোবেসেছিল
মনে মনে।
               তবে এখন সে সব মিছে
কল্পনা; কেবল স্মৃতির পাছে ছুটার
দুর্দম্য বাসনা মোদের।তবু ভালোবাসার
অপূর্ণ   সাধ   যদি   মিটে  তাতে!
বরং   রাত   বাড়ার   সাথে   সাথে
আরো নিবিড়  ও  চুপ  হয়ে  আসে
মন ; ভয়ে  ও  শঙ্কায়  ডান  পাশে
ফিরে  শোয়, আর   মনকে   বুঝায়
চোখ বুজে যে বৃথা এ চেষ্টা ছেড়ে
নিজেকেই    ভালোবাসো   তুমি
আত্মগর্বের বঞ্চনায়।
              তবু সে সব ফাঁপা কথায়
ভিজে না মন; কেবল গুমরে ওঠা
একঘেয়ে ক্লান্তি ছাড়া।তবে বাকিটা
রাত যে চেয়ে আছে তার অন্ধকার
হাঁ   করে   যেন  আমার  অন্তঃসার
শুষে লবে তার গহ্বরে, যদি না কেউ
ভালোবাসে। তখন আত্মগর্বের ঢেউ
ভেঙে পড়ে লজ্জায় অনুতপ্ত হয়ে
অতীন্দ্রিয় দ্বীপে যেথায় সংশয়ে
অপূর্ণ সাধ গড়ে তুলে ভালোবাসার
আশ্চর্য মুরতি: হাত-মুখ-চোখ যার
মানুষেরই, তবু সে নয় মানুষের
মতো।