তোমরা আছো বলেই এখনো বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে, সুন্দরী!
তোমাদের লাস্যময় খোলামেলা আবেদনময়ী শরীর
সঙ্গমসুখ-বঞ্চিত প্রেরণাহীন আমার অকালবৃদ্ধ যৌবনে
কামোত্তেজনায় অবসাদ, বিষাদ দূর করে কর্মচাঞ্চল্য আনে,
কর্মস্পৃহা আনে; প্রতি ফোঁটা বীর্যস্খলনে (যে যা খুশি ভাবে ভাবুক)
মানসিক রোগ: লজ্জা, ভয়, হিংসা, ঘৃণা-মুক্ত প্রশান্তি আনে।
স্বর্গের পাথেয়, আত্মশুদ্ধি অর্জনে, তাই তোমরা গুরু, পথপ্রদর্শক।
আপন রূপলাবণ্য বিলায়ে শ্রীহীন মোদের সচেতন করে তোলো
সৌন্দর্যের আদর্শ সম্বন্ধে। চারপাশের স্থুল, বেটে, রোগা, কালো
বয়স্কা স্ত্রীদের দেখতে দেখতে যখন ক্লান্তিতে হাঁপিয়ে ওঠে মন,
নতুন স্বাদ খুঁজে বেড়ায়, তখন তোমাদের মাংসল উরু, দুধেল স্তন
সুগোল শ্রোণি, প্রশস্ত কোমর বার্তা আনে মুক্তির : সাংসারিক  একগামী অভিনয় থেকে বহুগামী বাস্তবের পথে। পুরুষদের ধোন
দেবীদের শ্রদ্ধা করলেও ভালোবাসে মাগিদের— এই দুঃসাহসিক
বাণী উদঘাটিলে তোমরা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা সত্যভাষী। মানবচরিত্রের
অন্ধকার দিকগুলি, নির্লজ্জ নগ্নরূপে, লেপন করো নিজের গাত্রে