চেতনা আমায় ভাত দেয়না মানুষের
চেতনা আমার ঘুম ভাঙায় না দুঃস্বপ্নের
চেতনা আমার কাছে অর্থহীন মূল্যহীন জড়
চেতনার চেয়ে আমার মানুষগুলো বড়
আমি ছুঁড়ে ফেলি সে চেতনা,
যে চেতনা আমার বোনকে ধর্ষণ করে,
তারপর সেই হাত দিয়ে কুপিয়ে মারে
অথচ কখনো কেউ বিচারে আসেনা
আমি তীব্র চরম ঘৃণা করি সে চেতনা,
যা আমার বোনের অধিকার কাড়ে
নির্যাতন যাঁতাকলে ভয়ে থরথরে
তাদের রক্ত,কষ্ট এবং অশ্রু শুকোতে দেয়না
আমি লাথি মেরে ভাঙি সে চেতনা
যা আমার ভাইয়ের চাকুরী দেয়না
বাবার আশিতেও বুড়ো হতে হয়না
মায়ের আগমনে, অশ্রুসিক্ত নয়নে
বৃদ্ধাশ্রমে খুব সম্ভ্রমে বাড়তে থাকে ভীড়
অশ্রু শুকানো জননীপ্রাণ হয়ে আসে থির
তারপর লোভের প্রাসাদ ঘরে পড়ে ধুম
চেতনার এবোরশনে নবজাতক হয় খুন
কিংবা রক্তচোষা কালোটাকার আদরে পোষা
নেশা-রোষা সন্তানের হাতেই প্রাণ যায় জনকের
এই চেতনা আমি ছুড়ে ফেলি দূরে
যা আমার ছাত্রদের স্বপ্নগুলো গলাটিপে মারে
ক্ষমতা পাশবিকতায় মায়ের বুক খালি করে
এই চেতনা শুধু চাপাতি ছুরি চালায়
মন্দির গীর্জা মসজিদ ভাঙে, মানুষ পোড়ায়
এই চেতনা মদ-গাঁজার আশ্রয়ে বাঁচে,
টগবগ করে নাচে - নেশারসের সুঁচের ডগায়
মদির ভোগবাদে ডুবে লোকভুলানোর মন্ত্রণায়!
এই চেতনা প্রটোকল ভেঙে বাইরে আসেনা
এই চেতনা অসহায়দের কান্না বুঝেনা
ঘরহারা, খেতে না পারা অন্নহীনের ক্ষুধা বুঝেনা
ধর্ষিতা মেয়ের, বুক খালি হওয়া মায়ের,
কিংবা আহতের ঘায়ের কষ্ট বুঝেনা এ চেতনা।
এই চেতনা তবুও অভিনয় করে যায়
অভিনেতা রাজাদের স্বর্গীয় ঠাণ্ডা হাওয়ায়
স্বর্গীয় আয়েশে আরামে ঘুমোতে থাকা এ চেতনা
রাজ্যে প্রজা ভুলানো মন্ত্র ছল ছাড়া আর কিছুনা
অতীত প্রেতাত্মার কালো ছায়া এ চেতনা
রক্তের অভিশাপ কান্না হাহাকারের ভৌতিক মন্ত্রণা
এ চেতনা দানব আর পশুদের স্লোগান ছাড়া কিছুনা
লোকভুলানো মহামারী কালা জাদুর চিরযন্ত্রণা।