ও জননী তোর তরে মোর কলম কেন বিষাদ লেখে
অশ্রুভেজা মলিন বদন অবাক চোখে চেয়ে দেখে
কেউ করে না তোর তরে মা সযতনে আপন ভেবে
তবুও তুই হাসিস মা রে দুঃখ শত বক্ষে চেপে
যতই থাকি দূরে তোরই চরণতলে ঠেকাই মাথা
শত কষ্টে গ্লানি ভুলেও অঙ্গে মা তোর আঁচল পাতা
কেন তবে কষ্ট তোরই ভোর হলে মা যায় লুকায়ে
নিজের ছেলের জন্যে ফেলা অশ্রু চোখের যায় শুকায়ে
তুই কেন মা মুখ বুজে তোর ছেলের গ্লানি সহ্য করিস
অবজ্ঞার ঐ চোখের পানি হাসির ছলে আটকে ধরিস
তোর কি মাতা কষ্ট বলতে যা আছে তা বোঝে না মন
বুঝলে তবে কেন করিস সহ্য মোদের ঢের জ্বালাতন
তোর কি গায়ে ব্যথা বলতে দেয় নি বিধি কোন কিছু
মোদের তরে ছুটিস কেন অসীম জ্বালার পিছু পিছু
আমরা তোরে ভুল বুঝে মা করি ক্ষত তোর মনেতে
তুই কেন মা চুপ থেকে ফের আপোষ করিস তোর সনেতে
তোর কি রে হায় হয় না কভু বকা দেওয়ার ইচ্ছে মাতা
তবে কেন না দিয়ে ফের শুনিস মুখে আসে যা তা
এই ধরণীর বিচিত্রতার সবচেয়ে বড় বিচিত্রা তুই
ইচ্ছে করে চরণ চুমি মোদের সবার শির করে নুই
তবুও কি হবে তাতে তোরে দেওয়া জ্বালার মোচন
জ্বালা দিয়ে বুঝছি মোরা সেই জ্বালারই অনুশোচন
তবুও মা মুখ ফুটে তুই বলিস নি তোর কষ্ট লাগে
লুকিয়ে রাখিস সেই জ্বালা তোর সব ভোলানো হাসির ফাগে
বলতে পারিস আমায় মারে এমন কেন তুই
ইচ্ছে করে জড়িয়ে তোরই চরণযুগল ছুঁই
কোন মাটিতে প্রতিমা তোর গড়লো বিধি জানতে চাই
মরার পরের আর্জি যেন সেই মাটিরই পরশ পাই
রাহাত হোসেন