কে দেখি আজ পুড়ায় মোরে যে অনলের দাহ্য ভারী
করবো না ভাই পুড়বো তবু গগনফাটা আহাজারি
সেই অনলের কি এমন রাগ যা আমাকে পুড়ায় শুনি
কি এমন তাপ আছে তাতে উত্তাপে যার আসবে ধ্বনি
মনখানা মোর ইস্পাতের ঐ ঢালবিহারী বর্মসম
জন্ম হতে পুড়ছি গো মা সইছি আজও দহন মম
তবুও সেই অগ্নিবুকে নাই কেন মা তাপেরও তেজ
মনখানা মোর পুড়ছে তবু রয়েছি ফের সুস্থ সতেজ
কেন গো সেই অনল মোরে পারে নাকো করতে শিথিল
যার বুকেতে সাহস আছে পুড়বে না সেই উত্তাপে দিল
যে নাকি ভাই পোড়ার আগেই ভয় পেয়ে হয় দিশেহারা
ভীষম দহন পুড়িয়ে তাদের দিল করিবে ছাই আঙ্গারা
চিত্তে যদি জোর থাকে ফের অগ্নি হবে বরফ শীতল
দাস হবে তার দহন তব আপনি নুয়ে পরবে শিকল
পোড়ার আগেই যায় যদি কেউ অনল দেখে চমকায়ে ফের
সেই অনলই হানবে দহন অন্তরে তার ঢের মহাঢের
তাই বলি ভাই চলতে পথে যে পথেতে অগ্নি তবু
ভয় পেয়ো না এগিয়ে যেতে পুড়তে কাতর হোস নে কভু
কাতর হলেই পুড়িয়ে যাবে ঐ অনলের অগ্নিশিখা
ধরার সকল মহাবীরের পুস্তকের ঐ একই লিখা
না নামিলে অগ্নিশিখায় করিলে তারে ভয়
ক্ষয় হবে ভাই ক্ষয় হবে তোর হবে নাহি কভু জয়
মানুষের নীতি এই
না দেখে সেই শিখার দহন দূর হতে জ্বলিবেই।।
রাহাত হোসেন