প্রেম ছাড়া এ মনটা ঘরে টেকে নারে,
বল দেখি ভাই প্রেম ছাড়া কে থাকতে পারে?
রমনীর ঐ কোমল মায়ায় পড়লে বাধা,
ভেদ করা সে দারুণ কঠিন গোলক ধাধা।
তবুও সেই গোলকধাধার চক্রটাতে,
মনখানা মোর যায় বারেবার আটকে তাতে।
গোলকধাধার একটি পথই খোলা তবু,
পায় নারে খোঁজ মনখানা সে পথের কভু।
তবুও সেই পথের খোঁজে হন্যি হয়ে,
খুঁজে নেবো সে পথ শত ব্যথা সয়ে।
প্রেম করিলে কি হবে তা নাহি ভেবে,
এক রমনী কতই বা আর দুঃখ দেবে।
এক জীবনে না পারিলে সইতে সে দুখ,
হবে না ভাই প্রেমে রঙিন সেই কালোমুখ।
তবুও সেই রঙিন মুখের ছবি এঁকে,
পার করিবো তার তরে পথ চেয়েই থেকে।
না হোক তবু মোর ঘরনী সেই ললনা,
করুক না হয় মোর সনেতে ঢের ছলনা।
তবুও সেই প্রেমের তরী বেয়েই যাবো,
কি আর হবে প্রেম না পেলে আঘাত পাবো।
সেই আঘাতে শক্ত পরাণ ভাঙবে নারে,
দেখবো আমি সেই রমনী কত আঘাত হানতে পারে।
আঘাত ছাড়া হয় না কভু অমর প্রেমের কাব্য গাঁথা,
হোক না খানিক কষ্ট পেয়ে নষ্ট তবু আমার মাথা।
কতই আমায় পুড়ায় দেখি অগ্নি মাঝে পাষাণ নারী,
সে কি জানে সেই অনলে আমি কত পুড়তে পারি?
কার সনে সে পাঙ্গা নিয়ে থাকবে টিকে ঠায় দাঁড়িয়ে,
সে জানে না আমি আগেই এসেছি সেই পথ মাড়িয়ে।
জানে কি সে তাহার হাসি যতনে মোর চিত্তে লেখি,
ভালো আমি বাসবো তারে কে আমাকে ঠেকায় দেখি।
যে রাগে তার অগ্নিশিখা অগ্নিবরণ লোহিতসম,
সেই অনলও হয় রে বরফ পড়লে প্রেমে সইলে মম।
যে জ্বালাতে জ্বালবে মোরে দেখে যদি আজকে কেহ,
বলে রাখি একই জ্বালায় নিরবধি জ্বলবে সেও।
যতই নারী ঠেলুক দূরে ভুল বুঝে সে ঘরহারারে,
করবে আপন ভাঙলে সে ভুল খুঁজে নিয়ে এই আমারে।
তখন এসব ব্যথার প্রহর হারাবে তার দীপ্তিরাশি,
বলবে বুকে টেনে নিয়ে জান তোমাকে ভালোবাসি।
রাহাত হোসেন