সদ্য ফোটা কলির মত তনু নামের মেয়েটা,
মরবে শত ব্যথা নিয়ে জানতো ধরায় কে তা?
ধর্ষণ করে মারলো তারে জাত পশুদের দল,
তবুও নাই ধরতে তাদের পূর্ণ কোলাহল।
প্রশাসন আজ দিশেহারা কাকে রেখে ধরবে কাকে,
শত চেষ্টায় যায় কি ধরা পশুর মনের হিংস্রতাকে।
এই কি সে দেশ যে দেশেতে তিরিশ লাখের রক্তধারায়?
গড়ার পরেও স্বাধীন স্বদেশ বন্দী মোরা বদ্ধ কারায়।
এই দেশই কি যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনে কাঙ্খিত জয়?
প্রশ্ন তবে আজ কেন মোর মা বোনেদের প্রাণ দিতে হয়।
মোর সে বোনের খুনের বিচার পশু বলির প্রহর গুণি,
তনু মরার পর থেকে সেই তিরিশ লাখের কান্না শুনি।
দেশে কি কেউ নেই যে আমার বোনের খুনি চিনতে পারে?
থাকলে তবে আড়াল ছেড়ে দে দেখা ভাই তুই আমারে।
এই কি দেশের স্বাধীনতা যার উল্লাসে আপ্লুত হই?
স্বাধীন দেশে খুন হলে বোন পাক আর মোদের বিকল্প কই?
এই দিন দেখার জন্য যদি হয় গো এমন স্বাধীনতা,
উন্নত শির হইতো না ভাই লিখতো না কেউ বনলতা।
আমরা যদি নই পশু ফের মোদের নীতির কোন ধারাতে?
নিজের ঘরের ভগ্নিকে হয় আপন দেশে প্রাণ হারাতে।
বোনেরই মান যায় যদি ফের তবে কি লাভ রক্ত দিয়ে,
কিসের এত দম্ভ মোদের বোন হারা সেই মুক্তি নিয়ে?
পশুর কি আর নীতি আছে করে মনে তার আসে যা,
থাকলে নীতি তারা কভু এ কাজ করতে পারিত না।
ইচ্ছে করে সেই পশুদের ধড় হতে তার শির ফেলে,
নিলে হাতে মুন্ডিটা ফের চিত্তে যদি সুখ মেলে।
করবো হনন পশু নিধন মনের গহন সুখ সাধে,
ব্যথিত সকল মান হারা মোর বোনরা যাদের তরে কাঁদে।
এই স্বাধীন দেশে মুক্ত হলেও বদ্ধ মোরা সব জানি,
আর কতকাল দেখবো মোরা তনুর মত প্রাণ হানি?
বোন হারা মোর শূন্য বুক আর স্বান্তনাতে ভরবে না,
নড়লে টনক সব পশুদের তনুরা আর মরবে না ।।
রাহাত হোসেন