আয়ানকালে নেত্র মাঝে
স্বপন বেড়ায় ভেসে,
কিরূপে যায় দিন রজনী
কেউ দেখে না এসে।
অংশুমালী ছড়ায় বিভা
শীতাংশুতে আলো,
হৃদয়ে মোর দারুণ খরা
কাটে না দিন ভালো।
ব্যাকুল ছিলাম যাহার সাড়ায়
সে আজ গেছে চলে,
সখা হতে রিপুর হেতু
সে নাহি গেল বলে।
উপলাঘাতে জীর্ণ হৃদয়
তাহারই স্মৃতি স্মরে,
রিক্ত ধরায় সিক্ত লোচন
তাহারেই ভেবে মরে।
স্মৃতির কোণে জমানো এ্যালবাম
পরিচিত কিছু গীত,
উষ্ণ হৃদয় বিলীন করিয়া
এনে দিলো ভারী শীত।
ত্রাস ছিল মোর অন্তরেতে
হারাই যদি তাকে,
উন্মাদখানার রোজ বাসিন্দা
করে দেবো আপনাকে।
সেই উন্মাদনা ধ্বনিছে আজ
ক্ষণিক রতি লয়ে,
অন্তরাত্মা ক্রন্দিয়ে উঠিছে
পারছি না আর সয়ে।
তাহার মাঝেই পেয়েছিনু খুঁজি
অমরাবতীর দ্বার,
নরকের সেই অনলে জ্বলি আজ
বক্ষ মোর আঙ্গার।
সুচারু সে ললনা ভারী
হরিণী তার নেত্র,
তাহারে স্মরিয়া খরা ধরা আজ
মোর হৃদয়ের ক্ষেত্র।
যে দিশা পানে দৃষ্টি বুলাই
বিদিশার নিশা ভারী,
কোন পন্থাতে কেমনে আমি
তাহারে ভুলিতে পারি।
নিদ্রাগাঙে নাওয়ায়ে আঁখি
নিদ্রার ঘোরে তাকে,
ক্ষণিক রতিতে স্বপন মাঝে সে
আমায় আসিয়া ডাকে।
তাহারই স্মৃতির বেদনা চিত্তে
ক্লেশ দেয় ক্ষণে ক্ষণে,
যতই ভোলার কোশিশ করি
তাহারেই পড়ে মনে।।
রাহাত হোসেন