দিও না ব্যথা কোমলমতি অস্ফুট কলিকায়
সে ব্যথা টেনে আনিবে যাতনা তোমারও কলিজায়
যে ফুল কাননে ফোটার আগেই ঝরে ঝরে পরে যায়
সেই ঝরাফুল ব্যথিত মুকুল ক্রন্দিবে নিরালায়
হানি তাহাতে টানিয়া আনিলে সময়ের আগে ঝরে
ফুটিবার আশায় কত কলি হায় এরূপে ঝরিয়া মরে
সে ঝরাফুল কুড়াবে না কেহ যদি তাহা নাহি ফুটে
কত না ফুলের স্বপ্ন ফোটার তাহা যায় শেষে টুটে
একটি ফুলকে ফুটিতে দিলে তা সুবাস ছড়াবে ভারী
ঝরে পরে গেলে সে ফুল চলিবে গৃহ মায়া বীথি ছাড়ি
একটি ফুলকে ফুটতে দিলে পুণ্যের হবে জমা
ফুটিলে তাহা হইবে স্নিগ্ধ শাশ্বত অনুপমা
চাইলেই মোরা পারি সেই ফুল না ঝরে ফুটিতে দিতে
ফুটিলে তাহা সকলে পারিবো তাহার সুবাস নিতে
এ সকল ফুল অকালে ঝরা সকল মানব জীবন
গড়িয়া তাহা আপনার সুখে চল রচি নব সৃজন
আজ হতে হোক পণ সবারই হারাতে দেবো না কলি
ফুটিবার আগে কোন মায়া মোহে হবে না সে অঞ্জলি
ব্যাথিত সকল জীবনের মাঝে ছড়ায়ে দিলে সুখ
সেই সুখ এসে মায়া জড়ায়ে ভরায়ে যাবে গো বুক
সেই সুখ নাহি পারিবে সকলে অর্থ দিয়া আনতে
সকলে তাই ঝরা ফুল খোঁজে ছড়াও নানা প্রান্তে
একটি ফুলের জন্য যদি পরিচর্যা করা হয়
সেই ফুল কভু ঘ্রাণ বিনা কভু হবে না অপচয়
নিজের সাধ্য দিয়ে করো সেই ফুলেদের চাষ
দেখবে সবাই পথের ধারেই সেই ফুলেদের বাস
তাদের চোখেও স্বপ্ন আছে বড় কিছু হবে
না গেলে ভাই স্বপ্ন তাদের স্বপ্ন হয়েই রবে
সকলে মিলে বাঁচাই যদি একটি ফুলের হাসি
সেই হাসিটাই জীবনে তোমার সুখ দেবে রাশি রাশি
একটি হাত বাড়ুক সবার একটি হাসির জন্যে
সাধ্যমত দেখবো তাদের শিক্ষা কাপড় অন্নে
ধরার তরে হাত পাতে সেই ছিন্নমূলের দল
ধরবে বলে কেউ ধরে না সবাই করে ছল
এই ছলনায় হানবে আঘাত মহাপাপ এই ভবে
কেউ জানি না কে বা কারা মারা যাবো কবে
মরার পরে হিসাব হলে কি বলবো রে ভাই
বাঁচার তরে পারলে বাঁচাও একটি হাসি তাই
হাত বাড়িয়ে ফোটাও যদি একটি মুখের হাসি
সেই হাসিটা করবে আপন পরম ভালোবাসি
ভালোবাসায় ভর করে এই বিশ্বনিখিল চলে
কেউ ঠেলো না ওদেরকে ভাই ঝরাফুলের দলে
একটি ফুল বাঁচানোর তরে হাসির যুদ্ধে নেমে
পড়তে হলে পড়ো গো ভাই ফুল ফোটানোর প্রেমে
মনে রেখো একটি ফুলে একটি হাসির বাস
জীবন দিয়েও একটি হাসি বাঁচাবার অভিলাষ
তোমরা সবাই নিজের করে নিজের মত ভাবো
পণ করো ভাই একটি হলেও ফুল ফুটিয়ে যাবো
ফুল বাঁচাতে কলম খাতায় চলছে প্রতিবাদ
হয় না যেন কোন ফুলের তিক্ত আর্তনাদ।।
রাহাত হোসেন