কল্যাণীয়েষু,
দূরদর্শনের পর্দায় চোখ রেখে,
সারা সকাল, দুপুর আবিষ্ট হৃদয়ে
চেয়ে চেয়ে দেখলাম
তিন দশকের গর্ব আর ঔদ্ধত্যের
দূর্গ ভেঙে পড়ার দৃশ্য।
সারা বাংলা দেখছে,
ইন্দ্রপতন, নবারুণোদয়।
এক নিঃশব্দ বিপ্লবের অভিঘাতে
চূর্ণবিচূর্ণ শাসকের বেয়নট !
ঘাতক বুলেটের জবাব ব্যালটে
দিয়েছে জনতা।
শোভন,
এই অশীতিপর বয়সেও
উদ্বাহু নাচতে ইচ্ছে হয়।
না, এ জয় গণদেবতার।
তাই, নৈবেদ্য নৃত্যে নয়।
ত্যাগে, সংযমে, সংকল্পে।
এবার
সংকল্প নেওয়ার পালা।
সারা বাংলায় আর রক্ত ঝরবেনা।
বিচার হবে গণহত্যার।
নারকীয় পৈশাচিকতার
উদ্যত ফণা হবে ম্রিয়মাণ।
সেই পথ চেয়ে
সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রাম,
যা তোমার আমার নাম।
কল্যাণীয়েষু,
চলো সে পথেই যাই।
চেঁচিয়ে বলি
জয় হো, মা-মাটি-মানুষ।
রচনাকাল.........১৪/০৫/২০১১