বাংলা কবিতার আসরে নবাগত রজত পুরকায়স্থ'র ,"দিদির পোড়া আঁচল" এক অসাধারন পরিবেশনা। অসীম মুগ্ধতায় আর অপার বিষ্ময়ে পাঠ শেষ করলাম। একজন মাতৃহারা শিশুর পাশের বাড়ীর দিদির কাছে বেড়ে ওঠার নিছক গল্প নয়। বর্তমানের নিরিখে বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। আজকের চরম ব্যাস্ততার জেটযুগে ক্যারিয়ার তৈরীর নেশায় বুঁদ নিউক্লিয়াস পরিবারের শিশুদের শৈশব কাটে ডে কেয়ার হোম অথবা কিন্ডারগার্টেনে। তাদের কাছে কাজলা দিদি, ঠাকুরমার ঝুলি হারে রে রে একবারেই ব্যাকডেটেড। আমরা আমাদের উত্তরসূরীদের আমাদের শৈশবের আনন্দ দিতে ব্যর্থ। আমরা হারিয়েছি আমাদের গৌরবময় অতীত-ঐতিহ্য।
এত বছর পরেও বধূহত্যার নিষ্ঠুরতামুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি। ঘোন্টু ও তার বন্ধু কেবল তাদের দিদিকেই হারায়নি। আমরাও হারিয়েছি মনুষ্যত্ব। এই নিরিখেয় কবিতিটি ও কবি প্রসংশাযোগ্য।