নারী দেহ ভোগ্যবস্তু এখন।
নারীকে সহজেই
উদগ্র লালসায়,
পাশবিক আঘাতে
ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত করা যায়।
আবার লোকচক্ষুর আড়ালে
নিকষ কালো আঁধারে
পুড়িয়েও ফেলা যায়।
সতীদাহে বাধা আছে,
সমাজ-রাষ্ট্রের!
নারীদাহে?
মিডিয়ার ঝলকানি।
মোমবাতি মিছিল আর
কলম বিপ্লব।
তবু,
নির্ভয়া-মনীষারা আজও
বাঁচার শেষ লড়াইয়ে হারে
হেরেই চলে......।
নয়নাশ্রু আর নয়।
চাই প্রত্যাঘাত।
আধপোড়া মোমবাতিকে
অগ্নি মশালে জ্বালাও।
খোঁপায় গোঁজ গোলাপ কাঁটা,
শাড়ির ভাঁজে আলপিন আর
বুকের মাঝে পাতিক্ষুর।
গোল্লাচ্ছুট খেলিস না আর
তার চেয়ে মা ভাজ মুগুর
নরপশুর চোখে হানতে
হাত হোক তোর বিষনখর।
অবলা আর থাকিসনা মা,
নিজের বলে বাঁচতে শেখ
নিথর দেহ হওয়ার আগেই
সব কটাকেই কর আঘাত
এ ছাড়া আর নাই যে পথ
এবার চাই প্রত্যাঘাত।
রচনাকাল.......০৬/১০/২০২০